‘জাতীয় স্তরে আমরাই কংগ্রেসের বিকল্প, কেজরিওয়াল হবেন প্রধানমন্ত্রী’, দাবী আম আদমি পার্টির
পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফলের ইঙ্গিত মেলার পরই রীতিমতো বিস্ফোরক দাবী করলেন আম আদমি পার্টির শীর্ষ নেতা রাঘব চাড্ডা। প্রথমবার জাতীয় স্তরে নিজেদের আধিপত্যের দাবী করেন কোনও আপ নেতা। রাঘব চাড্ডার দাবী, আম আদমি পার্টি আর কোনও আঞ্চলিক দল নয়, এখন তারা জাতীয় শক্তি। আগামীদিনে গোটা দেশের দায়িত্বে থাকবেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল, এমনটাও দাবী করা হল দলের তরফে।
পাঁচ রাজ্যের ফলাফলের প্রাথমিক ট্রেন্ড অনুযায়ী, পাঞ্জাবে কার্যত কেজরিওয়ালের ঝড় উঠেছে। যে তুফানে নিশ্চিহ্ন হওয়ার পথে কংগ্রেস। ২০১৭ সালে দিল্লির অদূরবর্তী এই রাজ্যটিতে ৭৭ আসন পেয়েছিল কংগ্রেস। কেজরিওয়ালের দল এবার সেই ৭৭ আসনের গণ্ডিও পেরিয়ে যেতে চলেছে বলেই মনে করা হচ্ছে।
সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে পাঞ্জাবে দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় আসবে আম আদমি পার্টি। অন্যদিকে কংগ্রেস প্রায় নিশ্চিহ্ন হওয়ার দিকেই। শুধু পাঞ্জাবই নয়, বাকি চার রাজ্যেও কার্যত নিশ্চিত হওয়ার পথে কংগ্রেস। কোনও জায়গাতেই বিজেপিকে সমানে সমানে টক্করও দিতে পারছে না তারা।
কংগ্রেসের এই হার ও আম আদমি পার্টির সাফল্যকে কেন্দ্র করেই রাঘব চাড্ডা দাবী করেছেন, “আমি দেখতে পাচ্ছি আপ এবার জাতীয় শক্তি হওয়ার দিকে এগোচ্ছে। এবং কংগ্রেসের পরিবর্ত হতে চলেছে। আমরা আর আঞ্চলিক শক্তি নয়। ঈশ্বর যদি আমাদের এবং কেজরিওয়ালকে আশীর্বাদ করেন তাহলে কেজরিওয়াল একদিন দেশকে নেতৃত্ব দেবেন”।
আসলে, অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টি দীর্ঘদিন ধরেই দিল্লির বাইরে জমি দখলের চেষ্টা চালাচ্ছিল। এই প্রথম সাফল্যের মুখ দেখল তারা। পঞ্জাবের আপ-এর সাফল্যের অর্থ দিল্লির বাইরে কোনও এক পূর্ণরাজ্যে ক্ষমতায় থাকা। অর্থাৎ এমনটা হলে দেশের দুটি রাজ্যে একক ভাবে রাজ করবে আম আদমি পার্টি।
অন্যদিকে কংগ্রেসও দেশের দুটি রাজ্যেই ক্ষমতায় রয়েছে। আগামীদিনে আপ গুজরাত ও হিমাচল প্রদেশেও খাতা খোলার চেষ্টায় রয়েছে। ধীরে ধীরে জাতীয় রাজনীতিতে প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠছে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের দল।