দেশ

পুলিশ স্টেশনে আগুন লাগানোর জের, অভিযুক্তদের বাড়ি বুলডোজার দিয়ে ভেঙে গুঁড়িয়ে দিল অসম পুলিশ

অসমের নগাঁও জেলার এক পুলিশ স্টেশনে এক ব্যক্তির অস্বাভাবিক মৃত্যুকে ঘিরে বেশ চাঞ্চল্য ছড়ায়। এই মৃত্যুর ঘটনা সামনে আসার পরই কয়েকজন যুবক মিলে ওই পুলিশ স্টেশনে আগুন লাগিয়ে দেয়। এই নিয়ে তুমুল হইচই শুরু হয় ওই এলাকায়।

সূত্রের খবর অনুযায়ী, আজ, রবিবার যারা পুলিশ স্টেশনে আগুন লাগিয়েছিল, তাদের বাড়িতে অভিযান চালায় অসম পুলিশ। জানা গিয়েছে, বুলডোজার দিয়ে ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে তাদের বাড়ি। পুলিশ স্টেশনে আগুন লাগানোর ঘটনায় এখনও পর্যন্ত তিনজনকে গ্রেফতার হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বাকিদের এখনও খোঁজ চলছে।

জানা যাচ্ছে, অসমের শিবসাগর এলাকায় বাস ধরতে যাওয়ার সময় শফিকুল ইসলাম নামের এক মাছ ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে বাটাদ্রাভা থানার পুলিশ। এরপর হঠাৎই ওই ব্যক্তির অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘটে। সেই খবর চাউর হতেই ক্ষুব্ধ জনতা হাজির হয় থানায়। পরবর্তীতে পুলিশ স্টেশনে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। এমনকি, থানার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা বেশ কয়েকটি গাড়িতেও আগুন লাগিয়ে দেয় ক্ষুব্ধ জনতা।

মৃত ওই মাছ ব্যবসায়ীর পরিবারের তরফে অভিযোগ জানানো হয়েছে যে শাফিকুলকে গ্রেফতার করার পর তাঁকে মুক্তি দেওয়ার জন্য পুলিশ ঘুষ হিসেবে ১০ হাজার টাকা ও একটি হাঁস চায়। সেই টাকা নিয়ে থানায় পৌঁছন শাফিকুলের স্ত্রী, সেই সময় তাঁকে জানানো হয় যে তাঁর স্বামী হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। আর এরপরই তাঁর মৃত্যুর খবর মেলে। এই ঘটনায় পুলিশকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে মৃতের পরিবার।

যদিও এই ঘটনায় অসমের ডিজিপি ভাস্কর জ্যোতি মহন্ত বলেন, “শফিকুলের মৃত্যুর ঘটনাটি আমরা অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে দেখছি এবং এই ঘটনায় ইতিমধ্যে থানার ওসিকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে থানায় আগুন লাগানোর ঘটনা কাম্য নয়”।

বর্তমানে এই ঘটনা প্রসঙ্গে এসপি লীনা দোলে বলেন, “সমস্ত ঘটনার তদন্ত চালানো হচ্ছে। বর্তমানে আমাদের দুই জন পুলিশ কর্মী আহত হয়েছেন। থানায় হামলাকারীদের মধ্যে তিনজনকে আমরা আটক করেছি এবং বাকিদের উদ্দেশ্যে সন্ধান চালানো হচ্ছে”।

Related Articles

Back to top button