দলীয় প্রতিনিধিদের সঙ্গে নয় বরং আলাদা করে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ সারলেন লকেট চট্টোপাধ্যায়, জোর জল্পনা

কিছুদিন আগেই বাংলার রাজনৈতিক পরিস্থিতি কথা জানাতে বিজেপি সাংসদদের একটি প্রতিনিধি দল দিল্লি গিয়েছিলেন। সেখানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দেখাও করেন তারা। বাংলা নিয়ে নানান খুঁটিনাটি তুলে ধরেছিলেন তারা প্রধানমন্ত্রীর কাছে।
এই সফরে নানান সাংসদদের সঙ্গে যাওয়ার কথা ছিল বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়েরও। কিন্তু তিনি তখন হাজির হন নি। সেই নিয়ে গুঞ্জনও উঠেছিল বেশ। তবে এবার গতকাল, বৃহস্পতিবার সমস্ত গুঞ্জন উড়িয়ে প্রধানমন্ত্রীর দফতরে গিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করলেন লকেট। বাংলা নিয়ে নানান রিপোর্ট তুলে ধরলেন প্রধানমন্ত্রীর কাছে। সেকথা নিজেই সোশ্যাল মিডিয়ায় জানান তিনি।
এই মুহূর্তে সংসদে চলছে শীতকালীন অধিবেশন। এর জেরে সমস্ত সাংসদরাই এখন দিল্লিতে। এরই ফাঁকে গতকাল সময় করে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করলেন হুগলীর সাংসদ।
কিছুদিন আগেই বিজেপির তরফে বাড়তি দায়িত্ব পেয়েছেন লকেট চট্টোপাধ্যায়। উত্তরাখণ্ডের বিধানসভা নির্বাচনের জন্য সহ-পর্যবেক্ষক হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে তাঁকে। বিজেপি সংসদীয় দল যখন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন, সেই সময় নির্বাচনের কাজে উত্তরাখণ্ডে ছিলেন লকেট। এই কারণে সেই সময় উপস্থিত থাকতে পারেন নি তিনি। তাই এবার নিজেই প্রধানমন্ত্রীর দফতরে গিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করলেন সাংসদ।
এর আগে লকেটের নানান কার্যকলাপ নিয়ে বেশ জল্পনা তৈরি হয়েছিল। কখনও তিনি দেখা করেছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে। তো কখনও আবার ভবানীপুরের মতো হাই প্রোফাইল নির্বাচনী কেন্দ্রে দলের প্রচার থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছিলেন।
লকেট কী তবে বিজেপির সঙ্গে দূরত্ব বাড়াচ্ছেন? এমন প্রশ্নই উঠেছিল রাজনৈতিক মহলে। আর সেই প্রসঙ্গকে উসকে দিয়েছিলেন তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ। সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করে প্রচ্ছন্ন বার্তা দিয়েছিলেন তিনি। তিনি বার্তা দেন যে তৃণমূলে আসতে চাইলে লকেটকে স্বাগত।
তবে পুজোর আগে উত্তরাখণ্ড নির্বাচনে সহ-পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব পেয়ে তাতে ঝাঁপিয়ে পড়া এবং বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর দফতরে গিয়ে তাঁর সঙ্গে আলাদাভাবে দেখা করে লকেট কার্যত বুঝিয়ে দিলেন যে দলের সঙ্গে কোনও দূরত্বই তাঁর নেই। বরং দলের নির্দেশ মেনেই তিনি নানা কাজেই মনোনিবেশ করেছেন। সূত্রের খবর অনুযায়ী, গতকাল বৃহস্পতিবার মোদীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বাংলার রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে একাধিক নালিশ করেছেন এই বিজেপি নেত্রী।