সারদাকাণ্ডে দিল্লির সদর দপ্তরে কুণাল ঘোষকে ডাক সিবিআইয়ের, চলল ঘণ্টার পর ঘণ্টা জেরা

এবার সিবিআইয়ের (CBI) সমনের মুখে পড়লেন কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। একমাস আগেই তৃণমূলের যে রদবদল করা হয়েছে সেখানে রাজ্য স্তরের মুখপাত্র হিসেবে তাকে পুনরায় পদ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সুখের দিন যেতে না যেতেই সিবিআইয়ের জেরার মুখে পড়ে দলের মুখ পোড়ালেন একদা নামকরা এই সাংবাদিক। সারদা কাণ্ডে (Saradha Scam) যোগসূত্র থাকার জন্য তাকে ডাকা হয়েছিল সিবিআইয়ের প্রধান অফিসে। বুধবার তিনি সিবিআইয়ের অফিসে যান এবং সেখানে তাবড় তাবড় অফিসারদের কড়া জেরার মুখে পড়েন।
সাত বছর আগে কুণাল ঘোষকে (Kunal Ghosh) তৃণমূল (Trinamool Congress) থেকে বহিষ্কার করা হয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) সে সময় তাকে কাপুরুষ বলে অভিহিত করেছিলেন। ২০১৯ সালে শিলংয়ে সারদা মামলায় তিনি প্রাক্তন কলকাতার পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারের সঙ্গে বসে জেরার সম্মুখীন হয়েছিলেন। কুণাল বর্তমানে জামিনে মুক্ত রয়েছেন।
সম্প্রতি তৃণমূলে আবার নিজের জায়গা করে নিতে শুরু করেছিলেন কুণাল। এছাড়াও বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেলে তাকে তৃণমূলের মুখপাত্র হিসেবে ফের প্রতিষ্ঠিত হতে দেখা যাচ্ছিল। কিন্তু তার জয়যাত্রায় বাধ সাধল খোদ সিবিআই।
তার কাছে সিবিআইয়ের সমন আসার পর তিনি দিল্লিতে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার সদর দপ্তর এর উদ্দেশ্যে রওনা দেন। তাকে অবশ্য কোথায় যাচ্ছেন জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি উত্তর দেন তিনি এমনিই ভ্রমণ করতে যাচ্ছেন।
অন্যদিকে অত্যন্ত রহস্যজনকভাবে সিবিআই এর সদর দপ্তর থেকে কলকাতায় চার নং ইকনোমিক অফেন্স উইং এ চারজন পুলিশ সুপার পদমর্যাদার অফিসারকে নিয়োগ করা হয়েছে। সিবিআই-এর এই বিভাগ সারদা, নারদা, রোজভ্যালি, আইকোর প্ল্যানেট, প্রয়াগ সহ বিভিন্ন চিটফান্ড দুর্নীতির তদন্ত করছে যেখানে রাজ্যের শাসক দলের সঙ্গে এই ভুঁইফোড় সংস্থাগুলির সরাসরি যোগাযোগ ছিল।
পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনের আগেই সিবিআই এই সংক্রান্ত তদন্ত শেষ করে ফেলতে চাইছে। করোনার কারণে প্রায় তিন চার মাস তদন্ত পিছিয়ে গিয়েছে। কিন্তু এবার আর তদন্তকে আটকে রাখতে চাইছে না কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। যেভাবে শাসকদলের একের পর এক নেতা-নেত্রীদের কাছে কেন্দ্রীয় সংস্থা গুলির সমন যাচ্ছে তাতে একথা বলাই বাহুল্য যে একুশে নির্বাচনের আগে অন্য রকম চাপে পড়তে চলেছে শাসক শিবির।