তবলিগি জামাতের ভাণ্ডারে কিভাবে ঢুকছে এত ধনরাশি? তদন্তে নেমেছে সিবিআই

করোনা ভাইরাসের আঁতুরঘর হিসেবে কিছুদিন আগেই শিরোনামে এসেছিল তবলিগি জামাত। এরপর আবার নতুন সমস্যায় পড়ল তবলিগি জামাত। ধর্মীয় সংগঠনটির কোথা থেকে এত বিদেশি অনুদান পাচ্ছে? তা নিয়ে তদন্তের জন্য এবার প্রিলিমিনারি এনকোয়্যারি (পিই) রুজু করল সিবিআই, জানিয়েছেন সিবিআই এর দুই আধিকারিক।
তাঁরা জানিয়েছেন, বিদেশ থেকে কোনো ব্যক্তি বা কোনো সংস্থা জামাতে অনুদানের ক্ষেত্রে জামাত ফরেন কন্ট্রিবিউশন রেগুলেশন অ্যাক্টের (এফসিআরএ) কোনও নিয়মবিধি উলঙ্ঘন করেছে কিনা, তা খতিয়ে দেখবে সিবিআই। ইতিমধ্যে তদন্তে কিছুটা এগিয়েছে বলেও খবর পাওয়া গেছে। দিল্লি পুলিশের অপরাধ দমন শাখা থেকে ইতিমধ্যে নথি সংগ্রহ করেছেন তদন্তকারীরা। পাশাপাশি ধর্মীয় জমায়েতের সময়ে ৯০০-র বেশি জামাত সদস্যের বিরুদ্ধে যে ৪৭ টি চার্জশিট দায়ের করা হয়েছে ,সেই নথিও নেবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
এক আধিকারিক বলেন, ‘তবলিগি জামাতে যে মোট অর্থ রাশি জমা হয় সেই টাকা ভারত এবং বিদেশ থেকে আসে। জামাতের সহযোগী বিদেশি সংগঠনগুলিও এদের অর্থসাহায্য করে।তাই তাদের আর্থিক কার্যকলাপে সম্বন্ধে অনুসন্ধান করতেই একটি পিই রুজু করেছি আমরা।’
সিবিআইয়ের পরিভাষায় প্রিলিমিনারি এনকোয়্যারি (পিই)তে কোনও নিয়ম বিধি উলঙ্ঘন হচ্ছে কিনা তা যাচাই করা হবে। তার উপর ভিত্তি করেই এফআইআর দায়ের করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
প্রাথমিকভাবে খবর, সব নথি খুঁটিয়ে দেখার পর জামাতের প্রধান মৌলানা মহম্মদ সাদ-সহ দিল্লি এবং অন্যান্য শহরের প্রধানদের ডেকে পাঠাতে পারে সিবিআই। দ্বিতীয় আধিকারিক জানিয়েছেন, ভবিষ্যতে প্রয়োজন হলে বিদেশি তদন্তকারী সংস্থাদেরও এই বিষয় সাহায্য নেওয়া হবে।
বিষয়টি নিয়ে অবশ্য এখনও জামাতের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। ধর্মীয় সংগঠনটির আইনজীবী ফুজেল আয়ুবির সঙ্গেও এখনো যোগাযোগ করা যায় নি।
উল্লেখ্য, আর্থিক তছরুপ আইনে জামাত ও সাদের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে তদন্ত চালাচ্ছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। কীভাবে জামাতের সদর দফতর মার্কাজে অর্থ পৌছাত এবং তাতে হাওয়ালা যুক্ত ছিল না কিনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অতীতে বিভিন্ন ধর্মীয় সমাবেশে, ইন্ডিয়ান মুজাহিদিনের জঙ্গি এবং আইসিসের চরমপন্থী ভাবধারায় বিশ্বাসী জঙ্গিরাও উপস্থিত হতেন। তবে ভারতের কোনও সন্ত্রাসবাদী হামলায় এখনো জামাতের নাম জড়ায়নি।