Center Pleaded to Supreme Court: সশস্ত্র বাহিনীতে পরকীয়া শাস্তিযোগ্য হোক, কেন্দ্রের আবেদন সুপ্রিম কোর্টের কাছে
সশস্ত্র বাহিনীতে পরকীয়াকে শাস্তিযোগ্য অপ্রাধ হিসেবে গণ্য করা হোক, সুপ্রিম কোর্টের কাছে এমন আবেদনই জানাল কেন্দ্র সরকার। এর আগে পরকীয়াকে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৯৭ ধারা অনুযায়ী অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হত। কিন্তু ২০১৮ সালে এই আইনকে অসাংবিধানিক বলে রায় দেয় সুপ্রিম কোর্ট।
গত বুধবার কেন্দ্রের সেই আবেদন গ্রহণ করল বিচারপতি আরএফ নরিম্যানের তিন সদস্যের ডিভিশন বেঞ্চ। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফ থেকে অ্যাটর্নি জেনারেল কে কে ভেনগোপাল জানান, ২০১৮ সালে সুপ্রিম কোর্ট যে রায় দেয়, সেই কারণে সেনাবাহিনী, নৌসেনা,ও বায়ুসেনা আইনে পরকীয়ার জন্য সশস্ত্র বাহিনীকে শাস্তি প্রদানের যে আইন রয়েছে, তা বাধা হয়ে দাঁড়ায়। এই তিন বাহিনীতে নিয়ম রয়েছে যে পরকীয়ার ঘটনা যদি সামনে আসে, তাহলে তাদের শাস্তি পেতে হবে।
এই বিষয়ে কেন্দ্রের দাবী, সুপ্রিম কোর্টের রায়ের ফলে সশস্ত্র বাহিনীতে উদ্বেগের সৃষ্টি হতে পারে। এই বাহিনীর আধিকারিকরা কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে কাজ করেন। তাদের পরিবার থেকে দূরে থাকতে হয়। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের রায়ের ফলে তারা উদ্বেগে থাকবেন যে তাদের পরিবার কোনও অপ্রিতিকর ঘটনায় জড়িয়ে পড়ছেন কী না।
জানা গিয়েছে যে, এই বিষয়টি ব্যাখ্যা করতে পারে নরিম্যানের বেঞ্চ। কেন্দ্রের এই আবেদন যাতে বিবেচনা করে দেখা হয়, এই কারণে তিন সদস্যের বেঞ্চ প্রধান বিচারপতির কাছে একটি পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ গঠন করার জন্য বলেছে।
Related Posts
২০১৮ সালের সুপ্রিম কোর্টের রায় অনুযায়ী, মহিলাকে পুরুষের সম্পত্তি বলে গণ্য করা হয়। কোনও বিবাহিতা মহিলা যদি পরকীয়ায় লিপ্ত হন, তবে মহিলার স্বামী তৃতীয় ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ আনতে পারতেন। এই ক্ষেত্রে মহিলাদের আইনে শাস্তির বিধান দেওয়া হয়নি। সুপ্রিম কোর্ট জানায়, পরকীয়া অপরাধ নয়, তবে তা বিবাহ বিচ্ছেদের ভিত্তি হতে পারে।
সুপ্রিম কোর্টের সেই রায়ে মহিলা ও পুরুষের মধ্যে ভেদাভেদের বিষয়টি তুলে ধরেছে কেন্দ্র। কেন্দ্রের আবেদনে জানানো হয় যে, ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৯৭ ধারার মতো সশস্ত্র বাহিনীতে মহিলা, পুরুষের ভেদাভেদ নেই। এক্ষেত্রে মহিলা ও পুরুষের জন্য যা ব্যবস্থা নেওয়া হবে, তা একই প্রক্রিয়া মেনে হবে।