বিজেপি নেতাদের টুইটে ‘ম্যানিপুলেটেড মিডিয়া’ তকমা, টুইটারকে নোটিশ পাঠাল কেন্দ্র

গত ২১শে মে ও ২৫শে মে সোশ্যাল মিডিয়া সংস্থা টুইটারকে দুটি চিঠি পাঠায় কেন্দ্র। এই চিঠিতে বলা হয় যাতে বিজেপির প্রভাবশালী নেতাদের টুইট থেকে ‘ম্যানিপুলেটেড মিডিয়া’ এই ট্যাগটি সরিয়ে নেয় টুইটার। কিন্তু তা করেনি সোশ্যাল মিডিয়া সংস্থা।
এমনিতেই বিগত বেশ কিছুদিন ধরেই কেন্দ্রের সঙ্গে টুইটারের সংঘাত বেড়েছে। নতুন তথ্যপ্রযুক্তি আইন অনুযায়ী গত ২৫শে মে নানান সোশ্যাল মিডিয়ায় পরিবর্তন আনার শেষ সময় ছিল। কিন্তু নির্দিষ্ট সময় অতিক্রম করলেও টুইটার তা করেনি। এর জেরে সংঘাত জোরালো হয়।
আরও পড়ুন- সাম্প্রদায়িক বিভেদ তৈরির চেষ্টা, মুছে ফেলা হচ্ছে ‘হিন্দু’ পেজ, ফেসবুক বয়কটের ডাক নেটিজেনদের
এরই মধ্যে গত ২১শে মে কেন্দ্রের তরফে টুইটারকে একটি চিঠি দেওয়া হয়। এতে বলা হয়, “এই গুরুত্বপূর্ণ সময়ে দাঁড়িয়ে টুইটার নিজেদের ইচ্ছামতো কিছু টুইটকে ম্যানিপুলেটেড তকমা দিয়ে দিয়েছে”। কেন্দ্র চিঠিতে জানায়, “এটি নিরপেক্ষ প্ল্যাটফর্ম হিসেবে টুইটারের বিশ্বাসযোগ্যতাকে শেষ করেছে। একটি মধ্যস্থতাকারী মাধ্যম হিসাবে টুইটারের অবস্থান নিয়েও প্রশ্ন উঠছে”।
ঘটনার সূত্রপাত ১৮ই মে। এদিন বিজেপি মুখপাত্র সম্বিত পাত্র ও নানান প্রভাবশালী বিজেপি নেতা তথা সোশ্যাল মিডিয়া প্রধান প্রীতি গান্ধীর নানান সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্টগুলিকে ‘ম্যানিপুলেটেড মিডিয়া’ বলে দাগে টুইটার।
কেন্দ্রীয় বিজেপির তরফে টুইটে লেখা হয়, “কংগ্রেস একটি টুলকিট(স্টেপ-বাই-স্টেপ কার্যপদ্ধতি) ছড়াচ্ছে। সেই টুলকিটে করোনা পরিস্থিতি ও কেন্দ্রীয় ভিস্তা প্রকল্পকে হাতিয়ার করে কীভাবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ক্ষমতাচ্যুত করা হবে, তার উপায় বলা হয়েছে। এটি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে দিল্লি পুলিশ”। এই টুইটকেই ম্যানিপুলেটেড মিডিয়া তকমা দিয়েছে টুইটার। এরপর থেকেই চরমে ওঠে টুইটার-কেন্দ্র তরজা।
আরও পড়ুন- দিল্লি সফর থেকে ফিরেই উত্তরবঙ্গে সফরে যাচ্ছেন রাজ্যপাল, রাজ্য রাজনীতিতে তৈরি চাপানউতোর
অন্যদিকে টুইটার পাল্টা কেন্দ্রকে জানায়, “এটা করার পেছনে তদন্ত প্রক্রিয়ায় কোনও প্রভাব ফেলার উদ্দেশ্য আমাদের নেই”।