মুসলিম দেশ থেকে নিপীড়িত হয়ে আসা সংখ্যালঘু শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করল মোদী সরকার

মুসলিম দেশ থেকে নিপীড়িত হয়ে আসা সংখ্যালঘু শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করল কেন্দ্র সরকার। সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, এই বিষয়ে গতকাল, শুক্রবার একটি নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে।
জানা গিয়েছে, বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে আসা ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায় যেমন হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ও জৈন সম্প্রদায়ের শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে কেন্দ্রের মোদী সরকার।
MHA issued notice for any person belonging to minority community in Afghanistan, Bangladesh & Pakistan namely Hindus, Sikhs, Buddhists, Jain, Parsis & Christians residing in 13 districts of Gujarat, Chhattisgarh, Rajasthan, Haryana & Punjab to apply for Indian citizenship
— ANI (@ANI) May 29, 2021
এই কারণে রাজস্থান, গুজরাট, ছত্তিশগড়, হরিয়ানা ও পাঞ্জাবের মোট ১৩টি জেলায় বসবাসরত অ-মুসলিম শরণার্থীদের নাগরিকত্ব পেতে আবেদন জানানোর নির্দেশ দিয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। ১৯৫৫ সালের নাগরিকত্ব আইনের আওতায় তাঁদের দেশের নাগরিক হিসেবে গণ্য করা হবে।
উল্লেখ্য, মুসলিম দেশগুলি থেকে নিপীড়িত হয়ে আসা সংখ্যালঘুদের জন্য তৈরি নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন এখনও কার্যকর হয়নি। ফলে এই গোটা প্রক্রিয়া নিয়েই রয়েছে ধন্দ। এখনই কার্যকর হচ্ছে না সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন বা CAA। মোদী সরকারের আশ্বাস সত্ত্বেও গত ফেব্রুয়ারি মাসে এই আইন কার্যকর করার সময়সীমা আরও বেড়েছে।
চলতি বছরেই এই আইন কার্যকর করার কথা ছিল। কিন্তু সেই সময়সীমা আরও তিন মাস বাড়ানো হয় সংসদীয় কমিটির পক্ষ থেকে। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ৯ এপ্রিল থেকে ৯ জুলাইয়ের মধ্যে এই নাগরিকত্ব আইন কার্যকর করতে হবে। এর ফলে অনেকেরই মত, অ-মুসলিম শরণার্থীদের নাগরিকত্ব পাওয়ার প্রক্রিয়া কার্যত থেমে গিয়েছে।
আরও পড়ুন- ডিজিটাল পণ্য পরিষেবার বাজার দখলে টাটা! সাড়ে ৯ হাজার কোটি টাকায় বিগ বাস্কেট-এর অংশীদারিত্ব নিল তারা
বলে রাখি, এই নাগরিকত্ব আইন নিয়ে প্রথম থেকেই সরব হয়েছেন নানান বুদ্ধিজীবী। এর বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলেছেন বলিউডের অনুরাগ কাশ্যপ, স্বরা ভাস্কর থেকে শুরু করে টলি ইন্ডাস্ট্রির অপর্ণা সেন, কৌশিক সেন, অনির্বাণ ভট্টাচার্য ও আর অনেকেই। ধর্মের ভিত্তিতে নাগরিকত্ব দেওয়ার প্রক্রিয়াকে মেনে নিতে নারাজ অনেকেই।
তবে এদিকে থেকে গেরুয়া শিবিরের দাবী ছিল, মুসলিম দেশগুলিতে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে বাঁচাতেই এই আইন। তাদের দাবী, এই আইন নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার আইন নয়, বরং নাগরিকত্ব দেওয়ার আইন।