‘অস্থায়ী হাসপাতাল তৈরি করুন, হাসপাতালে বেড সংখ্যা বাড়ান’, বেলাগাম করোনা সংক্রমণের জন্য সমস্ত রাজ্যকে ফের চিঠি কেন্দ্রের

নতুন বছরকে সকলে সানন্দে স্বাগত জানিয়েছে। কিন্তু নতুন বছর পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই মাথাচাড়া দিয়েছে করোনা সংক্রমণ। এর সঙ্গে জুটি বেঁধেছে করোনার নয়া স্ট্রেন ওমিক্রন। একদিকে যখন সকলে নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে ব্যস্ত, ঠিক তখনই সমস্ত রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলগুলিকে হাসপাতালের পরিকাঠামো উন্নত করার জন্য চিঠি দিল কেন্দ্র সরকার।
আজ, শনিবার প্রতিটি রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলগুলিকে চিঠি দিয়ে স্বাস্থ্য পরিকাঠমোর পরিস্থিতি কেমন তা জানতে চাইল কেন্দ্র। হাসপাতালে অতিরিক্ত বেড বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে। স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতে পরিকাঠামো উন্নতির পাশাপাশি মজুত অক্সিজেন কেমন রয়েছে, তা জানাতে বলা হয়েছে। এই চিঠিতে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী রাজেশ ভূষণ অস্থায়ী হাসপাতাল তৈরির কথাও বলেছেন বলে জানা গিয়েছে।
দেশ করোনা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব চিঠিতে লিখেছেন, “ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের জেরে গোটা বিশ্ব বর্তমানে করোনার সর্বোচ্চ সংক্রমণ দেখছে। ভারতেও সংক্রমণ ক্রমশ উর্ধ্বমুখী। ৩১ ডিসেম্বরই দেশে ১৬ হাজার ৭৬৪ জন আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে, যা বিগত ৭০ দিনে সর্বোচ্চ দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা। ইউরোপ ও আমেরিকার বহু উন্নত দেশেও বিগত কয়েক সপ্তাহ ধরে সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে, যা ভাইরাসের অধিক সংক্রমণের দিকেই ইঙ্গিত দিচ্ছে”।
কেন্দ্রের এই চিঠিতে বলা হয়েছে যে সংক্রমণ যে হারে বাড়ছে, তাতে স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর উপর ফের চাপ পড়তে পারে। এই পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য অস্থায়ী হাসপাতাল গঠনের প্রয়োজন। যেসমস্ত রোগীদের সামান্য বা মাঝারি উপসর্গ রয়েছে, তাদের চিকিৎসার জন্য হস্টেলগুলি ব্যবহারের পরামর্ষ দেওয়া হয়েছে।
এও বলা হয়েছে, যে সব রোগীরা বাড়িতে নিভৃতবাসে রয়েছেন, তারা যাতে সমস্ত বিধিনিষেধ মেনে চলেন, তা নিশ্চিত করতে সমস্ত রাজ্যকে বিশেষ নজরদারি দল গঠনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি কল সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম তৈরির নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।
বড় শহরে যেখানে সংক্রমণের হার বেশি হওয়ার সম্ভবনা, সেই জায়গাগুলিতে নজরদারি রাখার কথা বলা হয়েছে কেন্দ্রের এই চিঠিতে। এর পাশাপাশি গ্রামীণ অঞ্চলগুলিতেও যাতে করোনা পরিস্থিতি পর্যালোচনার উপর যথেষ্ট জোর দেওয়া হয়, তা-ও নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। শিশুদের মধ্যে সংক্রমণ বাড়ার আশঙ্কা থাকায়, পেডিয়াট্রিক বা শিশু চিকিৎসায় যাতে বেশি করে নজর দেওয়া হয়, তা-ও বলা হয়েছে কেন্দ্রের এই চিঠিতে।