“নাগরিকদের গোপনীয়তা রক্ষায় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ ভারত সরকার!” ‘কু’ অ্যাপে বার্তা রবিশঙ্কর প্রসাদ-এর
সোশ্যাল মিডিয়ার ওপর রাশ টানতে কেন্দ্রের তরফে একগুচ্ছ নির্দেশিকা জারি করা হয়েছিল। সেই সঙ্গে বেঁধে দেওয়া হয়েছিল সময়সীমাও। তিন মাসের সেই সময়সীমা চলতি সপ্তাহেই উত্তীর্ণ হয়ে গেছে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য চলতি বছরের ২৫শে ফেব্রুয়ারি ভারতবর্ষে ডিজিটাল কনটেন্ট সংক্রান্ত নয়া নির্দেশিকা জারি করেছিল ইলেকট্রনিক্স ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রক। সেই নির্দেশিকায় নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, শীর্ষ স্থানীয় এই সোশ্যাল সাইট গুলিকে একটি কমিটি তৈরি করতে হবে নিয়ম ঠিকমতো মানা হচ্ছে কিনা তা পর্যবেক্ষণ করার জন্য। সেই সঙ্গে কোনও কনটেন্ট যদি অনভিপ্রেত বা আপত্তিকর মনে হয় তাহলে সেই সঠিক সিদ্ধান্ত নেবে ওই সংশ্লিষ্ট কমিটি। আর এই জন্য কেন্দ্রের তরফে ধার্য করা হয় তিনটি মাস। তবে শুধুমাত্র এই সোশ্যাল মিডিয়া সংস্থাগুলিই নয় ওটিটি প্ল্যাটফর্মের জন্যও একই নির্দেশ পাঠায় কেন্দ্র।
আরও পড়ুন- ভিডিও বিতর্ক! উরুগুয়ের টর্নেডোর পুরনো ভিডিওকেই ঘূর্ণিঝড় যশের ভিডিও বলে দাবী করল এবিপি আনন্দ
কিন্তু কেন্দ্রের পাঠানো এই নির্দেশকে কার্যত অবহেলা করে উক্ত সংস্থাগুলি। ইলেকট্রনিক্স ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রকের এই নির্দেশিকা হাতে পাওয়ার পরও কোনও প্রতিক্রিয়াই জানায়নি ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রামের মতো কোনও সংস্থাই।
এরপর ভারতবর্ষে নিষিদ্ধ ঘোষণা হওয়ার সম্ভাবনা থাকায় ফেসবুক এবং টুইটার কেন্দ্রের দাবি মেনে নেয়। কিন্তু বিরুদ্ধাচরণ করে হোয়াটসঅ্যাপ। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ তাঁরা।
সেই প্রেক্ষিতেই কেন্দ্রীয় সরকার স্পষ্ট জানিয়ে দেয়”ভারতীয় নাগরিকদের গোপনীয়তা রক্ষায় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ ভারত সরকার”। এদিন দেশীয় অ্যাপ ‘কু’ তে একটি বার্তা পোস্ট করেন কেন্দ্রীয় আইন মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ। সেখানে তিনি লেখেন, ভারত সরকার জানে গোপনীয়তার অধিকার একটি মৌলিক অধিকার এবং সরকারের তরফ থেকে ভারতের নাগরিকদের সেই অধিকার নিশ্চিত করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন-পুলিশের জালে ‘রিপাবলিক বাংলা’র সাংবাদিক, সিবিআই সেজে ১৫ লক্ষ টাকার জালিয়াতির অভিযোগ
তিনি লেখেন, “ভারত সরকার তার নাগরিকদের সর্বপ্রকার গোপনীয়তা রক্ষা করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ৷ একইসঙ্গে দেশের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা এবং জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষার দিকেও নজর রাখাও সরকারের কর্তব্য৷ ডিজিটাল মাধ্যমের জন্য ভারতের প্রস্তাবিত বিধিগুলির কোনওটিই হোয়াটসঅ্যাপের সাধারণ ক্রিয়াকলাপকে কোনওভাবেই প্রভাবিত করবে না৷ এবং সাধারণ ব্যবহারকারীরাও এর দ্বারা প্রভাবিত হবেন না৷” এবার দেখার এর পরিপ্রেক্ষিতে কি জবাব দেয় হোয়াটসঅ্যাপ। কেন্দ্রের নীতি মেনে নেয় নাকি তারা ফের বিরুদ্ধাচারণ পথে হাঁটবে তাঁরা সেটাই এখন দেখার।