শেষ মুহূর্তে ইসরোর যোগাযোগ বিছিন্ন বিক্রম ল্যান্ডারের সঙ্গে। এখনও চেষ্টায় বিজ্ঞানীরা।

রাত জেগে প্রায় সমস্ত ভারতবাসী যখন চন্দ্রযান – ২ এর ইতিহাস তৈরীর অপেক্ষা ছিল, সেসময়ই হঠাৎ চন্দ্রযান – ২ এর বিক্রম ল্যান্ডার এর সঙ্গে সম্পর্ক বিছিন্ন হয়ে যায় ইসরোর কন্ট্রোল রুমের৷ চন্দ্রপৃষ্ঠ থেকে ২.১ কিলোমিটার ওপর থেকেই হঠাৎ সিগন্যাল পাঠানো বন্ধ করে দেয় বিক্রম। এরপর থেকে এখনও অবধি ইসরোর বিজ্ঞানীরা বিক্রম ল্যান্ডারের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে৷
গত জুলাই মাসে পৃথিবী ছেড়ে চন্দ্রের পথে পা বাড়িয়েছিল চন্দ্রযান – ২। কথা ছিল সেপ্টেম্বর মাসের ৭ তারিখ রাত ১:৩০ টা থেকে ২:৩০ টের মধ্যে চন্দ্রপৃষ্ঠে সফট ল্যান্ডিং করবে বিক্রম ল্যান্ডার। সমস্ত কিছুই সেই পরিকল্পনা মাফিকই চলছিল৷ নামার জায়গা ছিল করে ধীরে ধীরে নেমেও আসছিল চন্দ্রযান ২ এর বিক্রম ল্যান্ডার। কিন্তু তাল কেটে গেলো চন্দ্রপৃষ্ঠের ২.১ কিলোমিটার ওপরে। যোগাযোগ বিছিন্ন হয়ে গেলো বিক্রমের সঙ্গে ইসরোর। ইসরোর কন্ট্রোলরুমের বিজ্ঞানীদের দেখা গেলো উদ্বিগ্ন ভাবে ফের বিক্রমের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনের মরিয়া চেষ্টার। কিন্তু এখনও অবধি যোগাযোগ স্থাপন আর সম্ভব হয়নি বলে সূত্রের খবর৷
ইসরোর তরফে আগেই জানানো হয়েছিল যে চন্দ্রযান – ২ সবচেয়ে আতঙ্কের মুহূর্ত হলো শেষ ১৫ মিনিট৷ আতঙ্কের এই শেষ ১৫ মিনিটকে তাঁরা নাম দিয়েছিলেন “টেরর ফিফটিন মিনিটস”। আর সেই টেরর ১৫ তেই ঘটে গেলো বিপত্তি। ইসরোর কন্ট্রোলরুমের তরফে জানানো হয়েছে যে, আর যোগাযোগ স্থাপন করা যায়নি বিক্রম ল্যান্ডারের সঙ্গে, সমস্ত ডেটা পর্যবেক্ষণ করে এর কারণ জানানো হবে। এরপরই ভেঙে পরেন ইসরোর বিজ্ঞানীরা৷ ইসরোর প্রধান কে. শিভান আবেগ চেপে রেখে কোনোভাবে যোগাযোগ বিছিন্নের কথা জানালেও অবশেষে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সম্মুখে কান্নায় ভেঙে পরেন তিনি। তবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ইসরো বিজ্ঞানীদের পাশে দাঁড়িয়ে বলেন যে, তিনি এবং সমস্ত দেশ ইসরোর বিজ্ঞানীদের পাশে রয়েছে৷ দেশের নেটিজেনরাও বলছেন যে, যাই হয়ে থাকুকনা কেনো ইসরোর জন্য ভারত আর গর্বিত, সবাই ইসরোর বিজ্ঞানীদের পাশেই রয়েছে।