দেশ

আশার কথা শোনালেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী! বছর শেষেই মিলবে দেশীয় করোনা প্রতিষেধক ‘কোভ্যাক্সিন!’

রোজ‌ই তৈরী হচ্ছে নতুন রেকর্ড। অবশ্য‌ই করোনার। দৈনিক সংক্রমণ বাড়ছে পাল্লা দিয়ে। আক্রান্তের সংখ্যা এখন দিনে পৌঁছে যাচ্ছে ৭০ হাজারের কাছাকাছি। মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৯ লক্ষেরও বেশি। এই অবস্থা থেকে ভারতকে রক্ষা করতে পারে একমাত্র প্রতিষেধক। আর তার‌ই অপেক্ষায় দেশবাসী। আর এই চরম পরিস্থিতিতে কিছুটা আশ্বস্ত করলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন। নিজের কথায় ইজ্ঞিত দিলেন ভারতের প্রথম করোনা ভ্যাকসিন ‘কোভ্যাক্সিন’ প্রস্তুত হয়ে যেতে পারে ২০২০-র শেষেই।

ক্রমেই ক্রমশ উর্দ্ধমুখী দেশে করোনা আক্রান্তের গ্রাফ। বৃহস্পতিবার রেকর্ড গড়ে ভারতে সংক্রমণের শিকার হয়েছিলেন ৬৯ লক্ষের বেশি মানুষ। শুক্রবারও পরিস্থিতির কোনও উন্নতি হন না। গত ২৪ ঘণ্টায় মারণ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে ৬৮ হাজার ৮৯৮ জন। ফলে দেশে মোট সংক্রমণের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২৯ লক্ষ ৫ হাজার ৮২৪।

স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যান বলছে চলতি অগস্টের ১ থেকে ২০ তারিখের মধ্যে করোনা পজিটিভ কেস ১২ লক্ষ ছাড়িয়েছে। মাস শেষ হতে আরও ৯ দিন বাকি রয়েছে। রোজ যে গতিতে পজিটিভ কেস বাড়ছে, তাতে আগস্টের শেষে সংখ্যাটা ১৭ লক্ষে পৌঁছে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।

এই ভয়াবহ পরিস্থিতিতে প্রতিষেধকের ট্রায়াল পর্ব শেষ হওয়ার আগেই সরকারের তরফে ‘এমারজেন্সি অ্যাপ্রুভাল’ দেওয়া হতে পারে বলে সম্প্রতি ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর) জানিয়েছে। বলা হয়েছে, জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহারের জন্য এখনও সব প্রশ্নের সমাধান হয়নি এমন ভ্যাকসিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে।

এখনও পর্যন্ত দেশে দু’টি ভ্যাকসিন গবেষণার মাঝ পথে রয়েছে। কোভ্যাক্সিন ও জাইকভ-ডি নিয়ে গবেষণা অনেকটাই এগিয়ে গেছে। সম্প্রতি দেশে আরও একটি ভ্যাকসিনের গবেষণায় অগ্রগতি হয়েছে বলে জানা গেলেও তার বিস্তারিত কিছু প্রকাশ্যে আসেনি। ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিন এবং জাইডাস ক্যাডিলার জাইকভ-ডি ট্রায়াল পর্যায়ে রয়েছে। জুলাই মাসেই শুরু হয়েছে ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল।

জানা গিয়েছে, প্রাথমিক পর্যায়ের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে কোভ্যাক্সিনকে ‘নিরাপদ’ সার্টিফিকেট দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। যদিও পরীক্ষামূলক প্রয়োগের সম্পূর্ণ ফল এখনও আসেনি। সেপ্টেম্বরেই শুরু হচ্ছে এই ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল।

তবে ভ্যাকসিন প্রয়োগের প্রাথমিক পর্যায় থেকে পাওয়া তথ্যই যথেষ্ট আশা জাগাচ্ছে। কারণ ভলান্টিয়ারদের কারও শরীরেই এখনও কোনও অস্বাভাবিকতা লক্ষ্য করা যায়নি। অর্থাৎ কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি তাঁদের শরীরে। তাই বিজ্ঞানীরা বলছেন, এখনও পর্যন্ত এই কোভ্যাক্সিনকে নিরাপদ বলেই মনে করা হচ্ছে। সবকিছু ঠিকঠাক চললে চলিত বছরের শেষেই ভারত বায়োটেকের তৈরি কোভ্যাক্সিন প্রস্তুত হয়ে যেতে পারে বলে আশার খবর শোনালেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন।

Related Articles

Back to top button