হলদিরাম’স চানাচুরের প্যাকেটে লেখা আরবি ভাষা, বিতর্কের মুখে সংস্থা, ঘটনা নিয়ে মুখ খুললেন হলদিরাম’স কর্তৃপক্ষ

হলদিরাম’স-এর তৈরি ফলাহারি মিক্সচার নামের চানাচুরের প্যাকেটের গায়ে লেখা আরবি ভাষা। এই নিয়ে শুরু হয় তুমুল বিতর্ক। এবার এই বিতর্ক নিয়ে অবশেষে মুখ খুললেন হলদিরাম’স কর্তৃপক্ষ।
প্রসঙ্গত, সুদর্শন টিভি নামের এক নিউজ চ্যানেলের এক সাংবাদিকের একটি ভিডিও সম্প্রতি খুব ভাইরাল হয়। সেই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে ওই সাংবাদিক হলদিরাম’স-এর একটি দোকানের কর্মচারীকে হুমকির সুরে জিজ্ঞাসা করছেন যে প্যাকেটের গায়ে উর্দু ভাষা লিখে কী লোকানোর চেষ্টা করা হচ্ছে?
এই ভিডিওকে ঘিরে তুমুল বিতর্ক শুরু হয় দেশজুড়ে। তবে জানা যায় যে এই লেখাটি আসলে আরবি ভাষা, উর্দু নয়। একথা জানিয়ে মুখ খুললেন হলদিরাম’স-এর মার্কেটিং প্রধান গৌরব মহাজন।
গৌরব জানান, “আমি বুঝতেই পারছি না আরবি ভাষায় লেখা নিয়ে কেন এত বিতর্ক। একটি ভাষাকে অযথা এত গুরুত্ব দেওয়ারও কোনও কারণ খুঁজে পাইনি আমি”।
কিন্তু আসলে ঠিক কী লেখা রয়েছে প্যাকেটের পিছনে?
উত্তরে গৌরব জানান, “শুধুমাত্র চানাচুরটির উপকরণ এবং পুষ্টির গুণাগুণ লেখা আছে। একজন ক্রেতার এই তথ্যগুলি জানার অধিকার রয়েছে। এই খাবার খাওয়া নিয়ে যেন কারোর মনে কোনও সন্দেহ না থাকে, তাই এই তথ্যগুলি দেওয়া হয়ে থাকে”।
কিন্তু আরবি ভাষাতে এই তথ্যগুলি কেন লেখা? এই প্রশ্নের উত্তরে হলদিরাম’স-এর কলকাতা অঞ্চলের ডিরেক্টর শরদ আগরওয়াল বলেন, “আমাদের তৈরি করা প্রোডাক্ট দুবাই, ইটালি, স্পেন, ফ্রান্স-সহ অনেক দেশে রপ্তানি করা হয়। এই সব দেশগুলিতে বাধ্যতামূলক ভাবে স্থানীয় ভাষা ব্যবহার করতে হয়। সেই কারণেই খাবারের তথ্যগুলি আরবি ভাষায় লেখা হয়েছে”।
ভাইরাল হওয়া ভিডিওটি ইতিমধ্যেই ২৮ লক্ষ মানুষ দেখে নিয়েছেন। এই ভিডিও নিয়ে নেটিজেনদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। কারোর মোটে, একটি ভাষা নিয়ে এমন বিতর্ক তৈরি করা অবান্তর। আবার কেউ কেউ প্রশ্ন তুলেছেন যে কেন উর্দু ভাষা ব্যবহার করা হয়েছে। তবে জানা গিয়েছে যে প্যাকেটের গায়ে লেখা ভাষা উর্দু নয়, আরবি।