জাতীয় শিক্ষানীতি নিয়ে ওঠেনি পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ! ‘এটি অত্যন্ত আনন্দের বিষয়’ মন্তব্য প্রধানমন্ত্রীর!
কিছুদিন আগেই জাতীয় শিক্ষানীতিতে ব্যাপক পরিবর্তন করে নরেন্দ্র মোদীর সরকার। বিভিন্ন মত পার্থক্য, বিরোধ থাকলেও জাতীয় পর্যায়ে এই শিক্ষা নীতি নিয়ে দেশের কোনও অংশ থেকেই পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ ওঠেনি। আর এই ঘটনাকে অত্যন্ত আনন্দের বিষয় বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী। আজ অর্থাৎ শুক্রবার জাতীয় শিক্ষানীতির বিষয়কে নিয়ে একটি অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এমনটাই বললেন মোদী। আজ ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ‘কনক্লেভ অন ট্রান্সফর্মেশনাল রিফর্মস ইন হায়ার এডুকেশন আন্ডার ন্যাশনাল এডুকেশন পলিসি’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সেই অনুষ্ঠানেই নিজের বক্তব্য রাখতে গিয়ে নতুন জাতীয় শিক্ষানীতি দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে বলে আশাপ্রকাশ করেন তিনি।
এই প্রসঙ্গে তাঁর উক্তি, ‘প্রত্যেকটি দেশই নিজেদের ঐতিহ্যের উপর ভিত্তি করেই শিক্ষার পরিকাঠামো তৈরি করে। আর দেশের লক্ষ্য অনুযায়ী তার সংস্কার করা হয়। বর্তমানকে সঙ্গে নিয়ে আগামী প্রজন্মের ভবিষ্যৎ তৈরি করে। কিন্তু, দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে আমাদের দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় বড় কোনও পরিবর্তন হয়নি। এর ফলে আমাদের মন সংকুচিত হয়ে গিয়েছিল। কৌতূহল বা কল্পনার কোনও জায়গা ছিল। এর ফলে আমাদের যুব সম্প্রদায়ের শিক্ষা ব্যবস্থার প্রতি কোনও টান ছিল না। কেন পড়াশোনা করবে তার কোনও কারণ খুঁজে পেত না তারা।’
তবে এই প্রসঙ্গে নিজের বক্তব্য রাখত গিয়ে প্রাক্তন সরকারকেও কটাক্ষ করতে ছাড়েননি বর্তমান প্রধানমন্ত্রী। সমালোচনার সুরে বলেন, এতদিন পর্যন্ত আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থার লক্ষ্য ছিল চিন্তা করতে শেখানো। কিন্তু, নতুন শিক্ষানীতি অনুযায়ী কীভাবে চিন্তা করতে হবে তা শেখানো হবে। আজকের দিনে আমাদের কাছে তথ্য ও বিষয়ের কোনও অভাব নেই। তাই জাতীয় শিক্ষানীতি তৈরি করার সময় শিশুদের শেখানোর জন্য তথ্য, আবিষ্কার ও বিশ্লেষণ ভিত্তিক উপায়গুলির উপর জোর দেওয়া হয়েছে।