হাথরাসে নির্যাতিতার পরিবারের সিবিআই তদন্তকে নাকচ, মামলা যাক ফাস্টট্রাক কোর্টে, দাবি উঠল এমনটাই

হাথরাস গণধর্ষণ কান্ডে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ কিন্তু তাতে রাজি নয় মনীষার পরিবার। যদিও গোটা ঘটনায় নিজেদের মতো করে তদন্ত করছে বিশিষ্ট তদন্তকারী দল তথা SIT। আজি তদন্তকারী দল নির্যাতিতার পরিবারের বয়ান রেকর্ড করেছেন। আর এই তদন্তকারী দলই পরে বলেন যে নির্যাতিতার পরিবার কোনভাবেই সিবিআই তদন্ত চাইছেন না তারা স্বাভাবিক বিচারবিভাগীয় প্রক্রিয়াতেই আস্থা রাখছে।
বিগত কয়েকদিনে উত্তরপ্রদেশের এই জেলায় দলিত তরুণী মনীষা বাল্মীকির গণধর্ষণ করে হত্যার ঘটনায় গোটা দেশ উত্তাল। প্রতিবাদে সরব ভারতের প্রতিটি রাজ্য। উত্তর প্রদেশের পুলিশ এবং প্রশাসন যেভাবে নির্যাতিতার পরিবার এবং সংবাদমাধ্যমকে ক্রমাগত হেনস্থা করে গিয়েছে তাতে নিন্দার ঝড় উঠেছে সব মহলেই। যোগী সরকারের পদত্যাগের দাবি উঠেছে। ফলে রীতিমতো চাপে পড়েই শনিবার সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন যোগী আদিত্যনাথ।
কিন্তু এসআইটি জানাচ্ছে অন্য কথা। নির্যাতিতার পরিবার তাদেরকে বলেছেন যে, তারা সিবিআই তদন্ত চাইছেন না। মনীষার মা জানিয়েছেন, গ্রামের উচ্চবর্ণের অনেকে তাদেরকে গ্রাম থেকে তাড়ানোর হুমকি দিচ্ছেন। পরিবারের অনেকেই জানিয়েছেন যে, তাদেরকে বারবার চাপ দেওয়া হচ্ছে গ্রামের অধিকারীর সঙ্গে বসে ব্যাপারটিকে মিটিয়ে নিয়ে চুপ করে যেতে। কিন্তু তারা ন্যায় চান।
যদিও গোটা ঘটনায় যেভাবে মুখ পুড়েছে উত্তরপ্রদেশ সরকারের তাতে মেরামতি করার জন্য ইতিমধ্যেই তারা নির্যাতিতার পরিবারকে ২৫ লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্য, একটি বাড়ি এবং পরিবারের কোন একজনকে চাকরির প্রস্তাব দিয়েছে। কিন্তু মনীষার পরিবার এই সমস্ত প্রলোভন প্রত্যাখ্যান করেছে। তারা চাইছেন এর চেয়ে বরং মামলাটি ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টে হোক। পুরো বিষয়টি খতিয়ে তদন্ত করুক সিট।
যদিও উত্তরপ্রদেশ পুলিশ এর আগে দাবি করেছিল যে মনীষার নাকি ধর্ষণ হয়নি কিন্তু আজ সামনে এসেছে মনীষার মেডিকেল রিপোর্ট। আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় জহরলাল নেহেরু মেডিক্যাল ক্যাম্প থেকে যে পোস্টমর্টেম রিপোর্ট পাওয়া গিয়েছে তাতে স্পষ্ট উল্লেখ করা হয়েছে মনীষার ধর্ষণ হয়েছিল। তার সঙ্গে জোরজবরদস্তি করা হয়েছিল এমনকি তার যৌনাঙ্গে অনুপ্রবেশের চিহ্ন মিলেছে তবে কোনো পুরুষের সিমেন পাওয়া যায়নি। ঘটনার সময় এবং তারপরে যন্ত্রণায় ছটফট করার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে ওই রিপোর্টে।