২৮ বছর পর অভিযোগ থেকে মুক্তি! ঐতিহাসিক রায় বলে মন্তব্য বর্ষীয়ান নেতা লালকৃষ্ণ আডবাণীর
অভিযোগ মাথায় নিয়ে কেটে গেছে দীর্ঘ আঠাশ বছর। আর আজ অবশেষে বাবরি (babri masjid) ধ্বংসের অভিযোগ থেকে নিষ্কৃতি পেলেন বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা লালকৃষ্ণ আডবানি (Lal Krishna Advani)।
বাবরি মসজিদ ধ্বংস কান্ডে তাঁকে সহ আরও ৩১ জনকে বেকসুর মুক্তি দিয়েছে বিশেষ সিবিআই আদালত(CBI Court)। বার্ধক্যের কারণে নিজে আসতে পারেননি। কিন্তু ভিডিও কন্ফারেন্সের (video conference) মাধ্যমে আদালতের রায় সবটাই শুনেছেন লালকৃষ্ণ আডবাণী।
সুরেন্দ্র কুমার যাদব (Surendra Kumar yadav)-এর রায় শোনার পর নিজের বক্তব্যে এই বিজেপি নেতা বলেন এটি একটি ঐতিহাসিক রায়। আজকের দিনটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আজ সবার খুশির দিন। জয় শ্রীরাম বলে এই রায়কে স্বাগত জানাচ্ছি। বিজেপি ও আমাকে এই রায় আমাদের সন্দেহমুক্ত করল। এই রায় আমার কাছে আরও খুশির কারণ নভেম্বরে আদালতের আর একটি রায়ে রাম মন্দির তৈরির পথ খুলে গিয়েছে। দেশের কোটি কোটি মানুষের মতো আমিও রাম মন্দির নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার দিকে তাকিয়ে রয়েছি।
উল্লেখ্য, বাবরি মামলার রায় দিতে গিয়ে আজ বিশেষ সিবিআই আদালত জানিয়েছে, মসজিদ ভেঙেছিল ‘দুষ্কৃতীরা’, অভিযুক্তরা উন্মত্তদের থামাতে গিয়েও ব্যর্থ হন। মসজিদ ভাঙার ক্ষেত্রে অভিযুক্তদের ষড়যন্ত্র ছিল এমনটাও সিবিআইয়ের দেওয়া তথ্যপ্রমাণ থেকে প্রমাণিত হয় না।
লালকৃষ্ণ আডবানী ছাড়াও এই ঘটনায় অন্যান্য অভিযুক্তরা ছিলেন মুরলি মনোহর যোশী (Murli Manohar Joshi), উমা ভারতী (uma Bharti), বিনয় কাটিয়ার, সাধ্বী ঋতম্ভরা, মহন্ত নৃত্য গোপাল দাস, ডা. রামবিলাসী বেদান্তি, চম্পত রায়, মহন্ত ধর্মদাস, সতীশ প্রধান, পবন ক্যমার পান্ডে, লল্লু সিং প্রকাশ শর্মা, বাহাদুর সিং, সন্তোষ দুবে, গান্ধী যাদব, রামজি গুপ্তা, ব্রজ ভূষণ শরণ সিং, কমলেশ ত্রিপাঠী, রামচন্দ্র ক্ষত্রী, জয় ভগবান গোয়েল, ওম প্রকাশ পান্ডে, অমর নাথ গোয়েল, জয়ধন সিং পবৈয়া, মহারাজ স্বামী সাক্ষী, বিনয় কুমার রায়, নবীন ভাই শুক্লা, আরিয়ান শ্রীবাস্তব, সুধীর কুমার কক্কর, ধর্মেন্দ্র সিং গুর্জর এবং আচার্য ধর্মেন্দ্র। প্রসঙ্গত, প্রায় তিন দশক ধরে খুব ধীর গতিতে চলেছে বিচার প্রক্রিয়া। লখনউ-এর ওল্ড কোর্ট হাউস বিল্ডিং-এর এক কোণে ১৮ নম্বর কোর্টরুমে এই মামলার বিচার হয়।