India

মহানদীর গর্ভে মিলল প্রাচীন মন্দিরের খোঁজ, সামনে আসবে ইতিহাসের অজানা তথ্য দাবি গবেষকদের

বিজ্ঞাপন

নদীর গর্ভ থেকে উঠে এল প্রাচীন ইতিহাস। ওড়িশায় মহানদীর গর্ভ থেকে পাওয়া গেল এক প্রাচীন মন্দিরের হদিশ আর সেই মন্দিরের হাত ধরে আরেকবার ইতিহাসে ডুব দিতে চলেছেন ঐতিহাসিক ও প্রত্নতত্ত্ববিদরা।

বিজ্ঞাপন

ওড়িশার কটকে মহানদীর বুকে প্রাচীন মন্দিরের খোঁজ পেয়েছেন ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল ট্রাস্ট ফর আর্ট অ্যান্ড কালচারাল হেরিটেজ আর্কিয়োলজিক্যাল সার্ভে টিম। সূত্রের খবর, দীর্ঘ সময় ধরে মহানদীর গর্ভে অনুসন্ধান চালিয়ে অবশেষে কটকের উজানে প্রাচীন মন্দিরটিকে খুঁজে পেয়েছেন তাঁরা। জানা গিয়েছে, প্রাচীন এই মন্দির আবিষ্কারের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছেন ইনটাক (INTACH)-এর প্রোজেক্ট অ্যাসিস্ট্যান্ট দীপক কুমার নায়েকের। অনুসন্ধানের মাঝে বারবার ব্যর্থ হয়েছেন তিনি। তারপরেও হাল ছাড়েননি। শেষে কটকের কাছেই পদ্মাবতী অঞ্চলের বৈদেশ্বরে মাঝনদীতে শেষপর্যন্ত মিলেছে এই মন্দিরের খোঁজ।

বিজ্ঞাপন

প্রথমে জলের গভীরে মন্দিরের চুড়া খুঁজে পান প্রত্নতাত্ত্বিকরা। প্রাচীন এই মন্দিরের অবস্থান নির্ণয় করতে নায়েককে সাহায্য করেন স্থানীয় প্রত্নতত্ত্বে উৎসাহী রবীন্দ্র রানা। এখন গরমকাল। আর গরমকালে নদীতে জল কম থাকে। তাই মন্দিরে চুড়ার অংশ জলের তলা থেকে জেগে ওঠে। যা দেখে স্থানীয়দের মনে ধারণা তৈরি হয়, ওখানে কিছু একটা আছে। তারপরই খোঁজ শুরু করেন সকলে। মেলে ঐতিহাসিক এই ঐশ্বর্য্যের খোঁজ।

বিজ্ঞাপন

তাঁদের থেকে জানা গিয়েছে প্রাচীন এই মন্দিরটি গোপীনাথ দেবের। প্রাচীন এই মন্দিরটি যেখানে রয়েছে, আগে তা ‘সাতপাটানা’ হিসাবে পরিচিত ছিল বলে জানা গিয়েছে। মহানদী গতিপথ পরিবর্তন করায় গোটা গ্রাম নদীগর্ভে হারিয়ে গিয়েছিল। প্রত্নতাত্ত্বিকরা জানাচ্ছেন, উনিশ শতকের মাঝামাঝি সময়ে, দুর্বল হয়ে পড়া মন্দিরের দেবদেবীদের সরিয়ে একটি নিরাপদ ও উঁচু স্থানে স্থাপন করা হয়েছিল। পরবর্তীতে সেই পদ্মাবতী গ্রামে গড়ে ওঠে আজকের গোপীনাথ দেব মন্দির। এই আবিস্কার ইতিহাসের অনেক কিছু অজানা তথ্য সামনে আনবে বলে মনে করছেন গবেষকরা।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

Leave a Reply

Back to top button

Discover more from Khabor24x7

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading