লাঠিপেটা থেকে ঘুষি – উদয়পুরের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের খুনিদের কীভাবে পাকড়াও করল পুলিশ, দেখে নিন সেই ভিডিও

উদয়পুরের নৃশংস হত্যাকাণ্ড নিয়ে উত্তেজনার পারদ ক্রমেই বাড়ছে। অভিযুক্ত খুনিদের কঠর শাস্তি থেকে শুরু করে ফাঁসিরও দাবী তুলেছেন অনেকেই। ইতিমধ্যেই এই হত্যাকাণ্ডের দুই খুনিকে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। কিন্তু কীভাবে তাদের গ্রেফতার করা গেল্ম তা নিয়ে একটি ভিডিও বেশ ভাইরাল হয়েছে (যদিও এই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি খবর ২৪x৭)।
এই ভিডিওটি শেয়ার করেছেন কংগ্রেসের সোশ্যাল মিডিয়ার জাতীয় আহ্বায়ক তথা রাজস্থান প্রদেশ কংগ্রেস মুখপাত্র নীতিন আগরওয়াল। এই ভিডিওটি টুইট করে তিনি লেখেন, “উদয়পুর হত্যাকাণ্ডের দুই খুনিকে গ্রেফতার করেছে রাজস্থান পুলিশ। ঘটনাস্থলেই তাদের স্বাগত জানিয়েছে রাজস্থান পুলিশ। আরও যত্ন করা হবে। এটা কংগ্রেসশাসিত রাজস্থান এবং এখানে অসামাজিক লোকজনদের একেবারেই বরদাস্ত করা হবে না”।
राजस्थान पुलिस ने उदयपुर हत्याकांड के दोनों हत्यारों को पकड़ लिया हैं ।
राजस्थान पुलिस ने मौक़े पर ही खातिरदारी की है। अभी और भी ख़ातिरदारी होनी है।
यह कांग्रेस शासित राजस्थान हैं यहाँ असामाजिक तत्व बिल्कुल भी बर्दाश्त नहीं किये जायेगे।#Udaipur pic.twitter.com/kBflQ0qzdB
— Nitin Agarwal (@nitinagarwalINC) June 28, 2022
এই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে যে বাইকে করে পালাচ্ছিল ওই দুই খুনি। সেই সময় তাদের ধরে ফেলে পুলিশ। দু’জনকে পাকড়াও করে ঘুষি, লাঠিপেটা, লাথি মারতে থাকে পুলিশ। এরপর তাদের ধরে নিয়ে যাওয়া হয়।
উল্লেখ্য, পয়গম্বর বিতর্ক নিয়ে নূপুর শর্মাকে সমর্থন করে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করেছিলেন রাজস্থানের উদয়পুরের এক দর্জি কানহাইয়া লাল। এরপর গত ১৭ই জুন কানহাইয়া লালকে খুনের হুমকি দিয়ে একটি ভিডিও সোশ্যাল মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয় অভিযুক্ত রিয়াজ আটারি। ফেসবুক ও উদয়পুরের নানান হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে ভাইরাল হয় ওই ভিডিও।
সেই ভিডিওর প্রেক্ষিতেই পরবর্তীতে পুলিশে অভিযোগ জানান কানহাইয়া লাল। পুলিশি নিরাপত্তাপ চেয়েছিলেন তিনি। হুমকি পাওয়ার পর বেশ কিছুদিন নিজের দোকানও খোলেন নি কানহাইয়া লাল।
গতকাল, মঙ্গলবার হুমকি পাওয়ার পর প্রথম দোকান খোলেন কানহাইয়া। এদিন তাঁর দোকানে পোশাক বানানোর অছিলায় আসে রিয়াজ ও ঘাউস মহম্মদ। একজন ভিডিও করে ঘটনাটির। কানহাইয়া যখন একজনের পোশাকের মাপ নিচ্ছিলেন, সেই সময় মুরগি কাটার ছুরি দিয়ে কানহাইয়ার উপর হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা।
চিৎকার করে দোকান থেকে বেরিয়ে যাওয়ার আপ্রাণ চেষ্টাও করেছিলেন কানহাইয়া। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। দুষ্কৃতীরা ওই ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা কেটে নৃশংসভাবে তাঁকে খুন করে। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে এএনআই।