শিখ সম্প্রদায়ের অপমান! মমতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে, বললেন অকালি শিরোমণি দলের মুখপাত্র
বিজেপির নবান্ন অভিযান ঘিরে রাজ্য রাজনীতি বিগত দু’দিন ধরে উত্তাল থাকলেও বর্তমানে প্রসঙ্গ সম্পূর্ণ অন্য দিকে ঘুরে গিয়েছে। শিখ নিরাপত্তারক্ষী প্রাক্তন এনএসজি কমান্ডো বলবিন্দর সিং বর্তমানে কলকাতা পুলিশের হেফাজতে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি সেই দিনের মিছিলে নাইন এমএম পিস্তল নিয়ে এসেছিলেন যা অনুচিত এবং এই আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স শুধুমাত্র জম্মু-কাশ্মীরের রাজৌরি জেলাতেই সীমাবদ্ধ। তাই তাকে তিন দিনের জন্য জেল হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। বিতর্ক বেঁধেছে অন্য জায়গায়। এই নিরাপত্তারক্ষীর সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তির সময় তার পাগড়ীটি খুলে যায়, তারপরে তাকে চুল ধরে টানতে টানতে নিয়ে যায় কলকাতা পুলিশ যে ভিডিও দেখে আঁতকে উঠেছেন শিখ সম্প্রদায়ের মানুষরা। শিখদের কাছে তাদের পাগড়ীতে হাত দেওয়া মানে খুন করার সমান।
দেশজুড়ে শিখদের মধ্যে তাই মমতা সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ দানা বেঁধে উঠেছে। ক্রিকেট তারকা হরভজন সিং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ট্যাগ করে টুইট করার পর আসরে নামে পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী। এরপর অকালি শিরোমণি দলের মুখপাত্র এবং রাজৌরি গার্ডেন এর বিধায়ক মনজিন্দর সিং সিরসা ভিডিওবার্তায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
তিনি বলেছেন যে, একজন কার্গিলে যুদ্ধ করা প্রাক্তন এনএসজি কমান্ডোর সঙ্গে যেভাবে মমতা সরকার ব্যবহার করছে তা অত্যন্ত অন্যায়। তার আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্সও জম্মু কাশ্মীর থেকে কলকাতায় স্থানান্তরিত করা হয়েছিল। একজন শিখের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের যে অনায্য ব্যবহার তার জন্য পশ্চিমবঙ্গ পুলিশকে অবিলম্বে ক্ষমা চাইতে হবে শিখ সম্প্রদায়ের কাছে এবং বলবিন্দর সিং কে ন্যায্য বিচার দিতে হবে। যদি তা না করা হয় তবে মমতা সরকারের বিরুদ্ধে অকালি শিরোমণি দল ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবে।
গোটা ঘটনায় এখন শিখ সম্প্রদায় অত্যন্ত ক্ষিপ্ত। যারা দেশের সেবায় এবং মানুষের জন্য সর্বদা নিজেদেরকে নিয়োজিত রাখেন সেই কমিউনিটির একজনকে যেভাবে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ লাঞ্ছনা করেছে তা মেনে নিতে পারছেন না শিখ সম্প্রদায়ের কোনো ব্যক্তিই। এমনকি কলকাতার অনেক বাঙালি হিন্দুও গোটা ঘটনায় শিখ সম্প্রদায়ের কাছে ফেসবুকে ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন।