সাত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক, করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে নতুন দাওয়াই প্রধানমন্ত্রীর
কোভিড টেস্ট, কনট্যাক্ট ট্রেসিং ও ট্রিটমেন্ট অর্থাৎ চিকিৎসার মাধ্যমেই নিয়ন্ত্রণে আনা যাবে করোনা মহামারী। গতকাল সাত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকে এমনটাই জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
দেশে করোনা সংক্রমণের সংখ্যা প্রায় ৫৬ লাখ পার করেছে। এদিকে দিল্লি-সহ অন্ধ্রপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ, কর্ণাটক, মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ু, ও পাঞ্জাব, এই সাত রাজ্যে করোনা পরিস্থিতি রীতিমতো উদ্বেগজনক। বিভিন্ন মাইক্রো কনটেন্টমেন্ট জোনে আরও বেশি করে করোনা পরীক্ষা ও কনট্যাক্ট ট্রেসিং-এর উপর জোর দিতে হবে বলে জানালেন প্রধানমন্ত্রী। তাছাড়া, ছোটো ছোটো এলাকাগুলি থেকে যাতে সংক্রমণ দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে না পারে সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে। তাঁর বক্তব্য, “বেশিরভাগ কোভিড সংক্রমণের ক্ষেত্রেই রোগীর কোনও উপসর্গ নেই, তাই ঠিকঠাক পদক্ষেপ নিতে হবে। এমন পরিস্থিতিতে করোনা পরীক্ষা নিয়েও অনেক গুজব ছড়াচ্ছে। অনেকে মনে করছে, কোভিড টেস্টে ঝুঁকি রয়েছে। আবার কিছু মানুষ তো ভাইরাস সংক্রমণের গুরুত্বই বুঝতে পারছেন না। তাই সকলের কাছে যাতে সঠিক বার্তা পৌঁছাতে পারে, সেদিকে নজর দিতে হবে”।
তাঁর মতে, প্রথম লকডাউনে সাফল্য পাওয়া গিয়েছিল। কিছু রাজ্য সপ্তাহে একদিন বা দু’দিন করে লকডাউন শুরু করেছে কিন্তু সেটা কতটা কার্যকরী বা তাতে অর্থনৈতিক দিক দিয়ে কোনও ক্ষতি হচ্ছে কী না, সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে।
এদিন বৈঠকে উক্ত সাত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী-সহ সেই রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রীদেরও উপস্থিত থাকতে বলেন প্রধানমন্ত্রী। আগামী ৩০শে সেপ্টেম্বর শেষ হচ্ছে চতুর্থ আনলক পর্ব। এরপর স্কুল-কলেজ খোলার কথাও ঘোষণা করা হয়েছে। নবম ও দশম শ্রেণীর ক্লাস করার অনুমতি মিলেছে। নভেম্বর থেকে কলেজ খুলে দেওয়ার কথাও ঘোষণা করেছে কেন্দ্র। গত মাসেও কিছু রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার জন্য মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী। কেন্দ্রের তরফ থেকে বেশ কিছু পরামর্শ দেওয়া হয় রাজ্যগুলিকে।
প্রসঙ্গত, গত ছ’মাসেও করোনা পরিস্থতির বিশেষ কোনও উন্নতি হয়নি উক্ত সাত রাজ্যে। দেশের মোট কোভিড পজিটিভ রোগীর ৬৫.৫ শতাংশই এই রাজ্জগুলি থেকে। গতমাসে দিল্লিতে করোনা সংক্রমণের হার কমলেও বিগত কয়েক সপ্তাহে করোনা সংক্রমণের গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী এইসব রাজ্যে। পরিস্থিতি সামাল দিতে কেন্দ্রীয় দল পাঠানো হলেও সংক্রমণের হার নিয়ন্ত্রণে আনা যায়নি।