ফের একবার বিশ্বের শীর্ষে উঠে এল ভারত। সবথেকে কম দিনের ব্যবধানে ১০ লক্ষ টিকাকরণ করিয়ে বিশ্বের অন্যান্য দেশকে পিছনে ফেলে দিল ভারত। ইতিমধ্যেই ১০.৪ লক্ষ ভারতীয় করোনার টিকার প্রথম ডোজ নিয়ে নিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
গত ১৬ই জানুয়ারি ভারতে করোনার টিকাকরণের কর্মসূচীর শুভ উদ্বোধন করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেইদিন থেক শুরু করে ২১শে জানুয়ারি পর্যন্ত ১০.৪ লক্ষ করোনা যোদ্ধাদের টিকাকরণ হয়েছে ভারতে যা বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় সবচেয়ে দ্রুত। গত ২১শে জানুয়ারিতেই ২ লক্ষ ৩০ হাজার স্বাস্থ্যকর্মী টিকা গ্রহণ করেছেন বলে জানা গিয়েছে। এখনও দেশের প্রায় ৯০ লক্ষ স্বাস্থ্যকর্মী, চিকিৎসক, নার্সদের টিকা নেওয়া বাকী। চলতি বছরের গ্রীষ্মের শেষ পর্যন্ত ৩ কোটি ভারতীয় টিকা পেয়ে যাবেন বলে খবর মিলেছে।
এও জানা গিয়েছে যে কো- উইন অ্যাপের কারণে এই টিকাকরণের কাজ আরও সুবিধা হয়েছে। এই অ্যাপের মাধ্যমে টিকাকরণের পদ্ধতিতে ডিজিটালভাবে নজর রাখা সম্ভব হয়েছে। এই অ্যাপের ফলে টিকাদাতারা সেই সমস্ত স্বাস্থ্যকর্মীর কাছেও পৌঁছতে পেরেছেন, যারা কোনও কারণে টিকা নিতে যেতে পারেননি।
একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়া একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি তথ্য থেকে জানা গিয়েছে যে টিকাকরণের দিক দিয়ে দ্রুত ১০ লক্ষের গণ্ডি পার করা দেশের মধ্যে সবচেয়ে প্রথমেই ভারতের নাম উঠে এসেছে। মাত্র ৬ দিনের মধ্যেই ভারতে ১০ লক্ষ মানুষ টিকা পেয়েছে, যেখানে আমেরিকাতে ১০ লক্ষ টিকাকরণ হতে সময় লেগেছিল ৯ দিন। এও জানা গিয়েছে যে এখনও পর্যন্ত গোটা বিশ্বে প্রায় ৫.৭ কোটি মানুষ করোনার টিকা পেয়েছে।
Related Posts
দক্ষিণ এশিয়ার নানান দেশে ভারত উপহারস্বরূপ অনেক টিকা পাঠিয়েছে। ভারতের এই পদক্ষেপের প্রশংসা করেছে আমেরিকা। বিগত কিছুদিনে ভারত ভুটানে ১.৫ লক্ষ, মালদ্বীপে ১ লক্ষ, বাংলাদেশে ২০ লক্ষ, মায়ানমারে ১৫ লক্ষ, নেপালে ১০ লক্ষ ও মরিশাসে ১ লক্ষ টিকা পাঠিয়েছে। ইতিমধ্যেই, ব্রাজিলও ভারতের থেকেই টিকা কেনার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এমনকি, বিশ্বের ৯২টি দেশ ভারতীয় টিকাতেই আস্থা রেখেছে ও ভারতের থেকে টিকা কেনার জন্য আবেদনও করেছে।