Breaking: দেশের তিন প্রতিরক্ষা বাহিনীকে আপৎকালীন ভিত্তিতে অস্ত্র কেনার জন্য ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ কেন্দ্রের
ভারত ও চীন সীমান্ত আকাশে যুদ্ধের ঘনঘটা। কেন্দ্রীয় সশস্ত্র বাহিনীকে যুদ্ধের প্রস্তুতির জন্য আপৎকালীন তহবিল তৈরি করল কেন্দ্রীয় সরকার। আজতক ও ইন্ডিয়া টুডে এই দুই সংবাদমাধ্যমের সরকার সূত্র মারফত জানা গিয়েছে যে দেশের তিনটি প্রতিরক্ষা বাহিনী স্থল, জল ও আকাশ এই তিনটে বাহিনীকে যে কোনো অস্ত্র এই মুহূর্তে কেনার জন্য ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। তারা প্রতিটি প্রজেক্টে অস্ত্র কেনার জন্য ৫০০ কোটি টাকা করে খরচা করতে পারবে। এই সংক্রান্ত বিষয়ে অস্ত্রশস্ত্র কেনার আগে তারা মিলিটারি অ্যাফেয়ারস বিভাগের সঙ্গে আলোচনা করে নিতে পারবে।
এই নির্দেশ পাওয়ামাত্র আমাদের দেশের তিন প্রতিরক্ষা বাহিনী কাজ শুরু করে দিয়েছে। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে তারা ইতিমধ্যেই দেশের সুরক্ষার জন্য অত্যাধুনিক কী কী অস্ত্র লাগবে তার তালিকা বানাচ্ছে। সবচেয়ে কম সময়ের মধ্যে তারা কোন অত্যাধুনিক অস্ত্র হাতে পাবে তার একটি তালিকা বানিয়ে কেনার পথে এগোতে চলেছে বলেই জানা গিয়েছে। চার বছর আগে সেপ্টেম্বর মাসে যে উরি হামলা হয়েছিল তখন যে অস্ত্র ব্যবহার হয়েছিল তারপরে আর সেরকম ভাবে কিছু কেনা হয়নি। এখন কেন্দ্রীয় সরকার এই আপৎকালীন বাজেট বরাদ্দ করায় সেনাবাহিনী এবার নিজেদের প্রয়োজনীয় অস্ত্র কিনতে পারবে।
বিগত ছয় সপ্তাহ ধরে লাদাখে ভারত ও চীন সীমান্তে দুই দেশের মধ্যে বিবাদ বজায় রয়েছে। ৬ দিন আগে বিবাদ চরমে ওঠে যখন চীনা সেনারা নিরস্ত্র ভারতীয় সেনাদের উপর বর্বরোচিত আক্রমণ করে এবং কুড়ি জন জওয়ানের প্রাণ কেড়ে নেয়। প্রায় ৭৬ জন জওয়ান তাদের আক্রমণে আহত হয়। আশ্চর্যজনকভাবে চীন এই ঘটনার দায় স্বীকার করে তো না ই উল্টে ভারতের উপর দোষারোপ করে যে ভারত প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা অতিক্রম করেছে বলেই চীনা সেনা ভারতের উপর আক্রমণ চালিয়েছে। এরপরই ভারত-চীন কে কড়া জবাব দেওয়ার জন্য প্রস্তুত হতে থাকে। তারই সাম্প্রতিক ফলশ্রুতি হল দেশের তিন প্রতিরক্ষা বাহিনীর জন্য ৫০০ কোটি টাকা করে অত্যাধুনিক অস্ত্র কেনার বরাদ্দ প্রদান।