খোলামেলা পরিবেশ, তিন বছর পর স্বাধীনতা দিবসের দিন সম্পূর্ণভাবে ইন্টারনেট পরিষেবা চালু থাকল জম্মু-কাশ্মীরে
তিন বছর পর প্রথম এমন ঘটনা ঘটল। বেশ কিছুটা নিরুদ্বেগের সঙ্গেই স্বাধীনতা দিবস পালন করা হল জম্মু-কাশ্মীরে। এদিন নিরবচ্ছিন্ন ইন্টারনেট পরিষেবা ছিল এই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে।
গত তিন বছর ধরেই স্বাধীনতা দিবসের দিন ইন্টারনেট পরিষেবা অনেক জায়গাতেই বন্ধ থাকত এই অঞ্চলে। কিন্তু এ বছর চিত্রটা একটু অন্যরকম। আজ , রবিবার কাশ্মীর পুলিশের আইজি বিজয় কুমার জানান, “স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কাল থেকেই কাশ্মীরের কোনও জায়গায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়নি। কোথাও কোনও রকমের কোনও বিধিনিষেধ ছিল না এদিন”।
আরও পড়ুন- ‘মাতঙ্গিনী হাজরা অসমের’, লালকেল্লায় ভুল মন্তব্য মোদীর, ‘অবিলম্বে ক্ষমা চাওয়া উচিত’, তোপ তৃণমূলের
গত তিন বছরে এই প্রথম ইন্টারনেট ও মোবাইল পরিষেবায় কোনও ব্যাঘাত ঘটল না জম্মু-কাশ্মীরে। এমন পরিবেশ শেষ দেখা গিয়েছিল ২০১৮ সালে। ২০১৯ সালের ৫ই আগস্ট জম্মু-কাশ্মীরের উপর থেকে বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহার করার পর এই রাজ্যকে লাদাখ ও জম্মু- কাশ্মীর, এই দুই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভাগ করা হয়।
সেই সময় এই অঞ্চলে ইন্টারনেট পরিষেবা সম্পূর্ণ বন্ধ করে দেওয়া হয়। দীর্ঘদিন ইন্টারনেট ছিল না জম্মু ও কাশ্মীরে। এরপর ধীরে ধীরে পরিস্থিতির উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে ইন্টারনেট পরিষেবা চালু হয়। কিন্তু স্বাধীনতা দিবস বা গণতন্ত্র দিবসের দিন ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখা হত। আজ গত তিন বছরে এই ঘটনায় ছেদ পড়ল।
২০০৫ সালের ১৫ আগস্ট ভয়ংকর জঙ্গি হামলার হয় কাশ্মীরের বক্সি স্টেডিয়ামে। এ বছর সেখানে স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। জঙ্গিরা মোবাইল ফোনের সাহায্যে স্টেডিয়ামের ঠিক বাইরেই আইইডি বিস্ফোরণ ঘটায়। এই ঘটনার পর থেকেই প্রত্যেক স্বাধীনতা দিবস ও গণতন্ত্র দিবসে চূড়ান্ত সতর্কতা অবলম্বন করা হয় জম্মু ও কাশ্মীরের সমস্ত জায়গায়।
প্রসঙ্গত, এবছর কিন্তু শ্রীনগর-সহ নানান জায়গাতেই দেখা মিলল খোলামেলা পরিবেশের। তবে স্পর্শকাতর বিশিষ্ট সব স্থানে কড়া ভাবেই মোতায়েন করা হয়েছিল নিরাপত্তা কর্মী। কোনও স্থানে যাতে কোনওরকমের ঝামেলা না ঘটে, সেদিকে কড়া নজর রাখা হয়েছে।