মানভঞ্জনের পালা! রাজনীতি ছেড়ে দেওয়ার কথা জানাতেই নাড্ডার ফোন বাবুলকে, বরফ কী গলল?

গতকাল, শনিবার ফেসবুকে এক দীর্ঘ পোস্ট লিখে আসানসোলের সাংসদ বাবুল সুপ্রিয় জানান যে তিনি রাজনীতি থেকে বিদায় নিচ্ছেন। ‘চললাম, আলবিদা’, জানিয়ে এই পোস্ট করেন তিনি। সেই সময়ই তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ খোঁচা দিয়ে বলেছিলেন, বাবুল কেন্দ্রের সঙ্গে দর কষাকষি করছেন। হিম্মত থাকলে সংসদে গিয়ে সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিন।
এরপরই এদিন রাতেই বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা ফোন করেন বাবুলকে। কথা হয় দু’পক্ষের। সূত্রের খবর, ফোনে সাংসদ পদ না ছাড়ার জন্য বাবুলকে অনুরোধ করেন নাড্ডা। তবে সে কথায় চিঁড়ে ভিজল কী না, তা তো সময়ই বলবে।
আরও পড়ুন- ‘জাগো বাংলা’য় তৃণমূলনেত্রীর ভূয়সী প্রশংসা বামনেতা অনিলকন্যা অজন্তার, সিপিএম সদস্যকে শোকজ করল দল
গতকালের পোস্টে রাজনীতি ছেড়ে সন্ন্যাস নেওয়ার কথা জানান বাবুল। এরই সঙ্গে তিনি এও স্পষ্ট করে দেন যে তিনি সিপিএম, তৃণমূল বা কংগ্রেস অন্য কোনও দলে যাচ্ছেন না। তাঁর কথায়, তিনি একটা দলেরই খেলোয়াড়। তাঁর এমন পোস্টের পর রীতিমতো হইচই পড়ে যায় রাজ্য রাজনীতিতে।
সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার কথাও বলেন বাবুল। এমনকি, দিল্লিতে নিজের বাসভবনও শীঘ্রই ছেড়ে দেবেন বলেই জানান। এরপরই তড়িঘড়ি গেরুয়া শিবিরের তরফে জেপি নাড্ডা ফোন করেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে। বেশ কিছুক্ষণ কথোপকথনের পর বরফ গলল কী না, তা অবশ্য এখনও খোলসা করে কিছু জানা যায়নি।
এদিনের নিজের এই পোস্টে নিজের অভিমানের কথা জানান বাবুল। দলের অন্দরে যে কোন্দলের পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে, এও বলেন তিনি। ফেসবুকে তিনি লেখেন, “নির্বাচনের আগে থেকেই রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে মতান্তর হচ্ছিল। প্রবীণ নেতাদের মতানৈক্য ও কলহে পার্টির ক্ষতি তো হচ্ছিল”।
আরও পড়ুন- ‘চললাম, আলবিদা’, ফেসবুকে অভিমান জাহির করে রাজনীতি থেকে বিদায় নিলেন বাবুল সুপ্রিয়
দিলীপ ঘোষের সঙ্গে বাবুলের ‘মধুর’ সম্পর্কের কথা প্রকাশ্যে এসেছিল আগেই। প্রকাশ্যেই একে অপরকে শানাতে বাদ যান নি কেউই। এরই সঙ্গে দলের অন্তর্দ্বন্দ্বের কথা সামনে চলে এসেছিল। বাবুলের কথা শুনছিলেন না। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর পদ যেতে সমস্যা তৈরি হয়। তাঁকে কোনও পদ দেওয়া হচ্ছিল না। সব মিলিয়ে নানান অভিমান ঝড়ে পড়ে বাবুলের পোস্টে।