জামিয়ায় ভাঙচুরের ঘটনায় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের কাছে ২.৬৬ কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ দাবি
গত ১৫ ডিসেম্বর ২০১৯ জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় ভাঙচুরের ঘটনায় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের কাছে ২.৬৬ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণের দাবি করল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সম্প্রতি জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরিতে দিল্লি পুলিশের তাণ্ডব চালানোর ঘটনা স্পষ্ট হয়েছে সেখানকার সিসিটিভি ফুটেজ সামনে আসতেই। সেই ফুটেজে দেখা গিয়েছে যে, উন্মত্ত পুলিশ ভাঙচুর করছে সিসিটিভি-ও। তাই মোট বাজেটের মধ্যে ২৫টি সিসিটিভির মূল্য বাবদ ৪.৭৫ লক্ষ টাকার হিসেব দেওয়া হয়েছে। যদিও ওই ভিডিও ফুটেজ অসম্পাদিত কিনা তার সত্যতা যাচাই করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে দিল্লি পুলিশ।
জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের যে ক্ষতিপূরণের হিসেব দিয়েছে, তার সঠিক অঙ্ক হল ২ কোটি ৬৬ লক্ষ ১৬ হাজার ৩৯০ টাকা। মানবসম্পদ উন্নয়নকে লেখা চিঠিতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ স্পষ্টই লিখেছেন যে, গত ১৫ ডিসেম্বর দিল্লি পুলিশের হাতেই ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে দেওয়া মোট ক্ষতিপূরণের অঙ্কের মধ্যে রয়েছে, ৭৫টি দরজা। যার মূল্য ৪১.২৫ লক্ষ টাকা। এছাড়া ২২০টি জানলার মূল্য ২২.৫ লক্ষ টাকা, রেলিংয়ের মূল্য ১৮ লক্ষ টাকা, হার্ডওয়ারের সামগ্রীর ১৫ লক্ষ টাকা ক্ষতি হয়েছে এবং লাইব্রেরির ৩৫টি টেবিল, যার মূল্য ১৪ লক্ষ টাকা। এছাড়াও ক্ষতিপূরণের অঙ্কের মধ্যে দাবি করা হয়েছে, ১৭৫ টি চেয়ারের মূল্য ৭ লক্ষ টাকা, শৌচাগার মেরামতিতে ৬ লক্ষ টাকা, বিশ্ববিদ্যালয়ের গাছপালা নষ্টে ৭.৫ লক্ষ টাকা, ক্যাম্পাসের মার্বেল মেরামতিতে ৮ লক্ষ টাকা হয়েছে। এছাড়াও ৪.৫ লক্ষ টাকার অ্যালুমিনিয়ামের দরজা ভাঙচুর করা হয়েছে বলে ওই ক্ষতিপূরণের তালিকায় লেখা হয়েছে। পাশাপাশি রঙ থেকে শুরু করে কাচের জানালা ভাঙচুর সহ সবমিলিয়ে আরও প্রায় ১৬ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণের হিসেব দেওয়া হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তালিকায়।