গণধর্ষণে অভিযুক্তদের শাস্তি হোক মৃত্যুদন্ড, পর্যবেক্ষণ কর্ণাটক হাইকোর্টের!
গণধর্ষণে অভিযুক্তদের দেওয়া হোক মৃত্যুদণ্ড, সুপারিশ করল কর্ণাটক হাইকোর্ট। হাইকোর্টের এই বলিষ্ঠ পদক্ষেপে দেশজুড়ে বইছে প্রশংসার বন্যা। খুনে চেয়েও ভয়ঙ্কর ঘটনা হলো গণধর্ষণ এবং দেশে যে হারে মহিলাদের উপর অত্যাচার বেড়ে চলেছে তাতে এই পরিস্থিতিতে গণধর্ষণের শাস্তি হিসাবে মৃত্যুদণ্ড ছাড়া আর কোন কিছু ভাবার উপায় নেই, জানালো কর্ণাটক হাইকোর্ট। গত মাসে হাথরাসের গণধর্ষণ কাণ্ড গোটা দেশের মানুষকে নাড়িয়ে দিয়েছিল এই কর্ণাটক হাইকোর্টের এই সুপারিশ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের।
সম্প্রতি এই যুগান্তকারী সুপারিশ পেশ করেছে কর্ণাটক হাইকোর্ট। তারা গণধর্ষণের ঘটনায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও জরিমানার সঙ্গে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার সুপারিশ করেছে। ন্যাশনাল স্কুল অফ ইন্ডিয়ান ইউনিভার্সিটিতে ২০১২ সালের ১৩ অক্টোবর রাত ৯টার সময় এক ছাত্রীর উপর যে গণধর্ষণ কাণ্ড হয়েছিল এবং তাতে যে ৭ জন অভিযুক্ত ছিল তাদেরকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা দেওয়া হয়েছে ,সেই সঙ্গে তাদের মৃত্যুদণ্ডের সুপারিশ দেওয়া হয়েছে।
ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬ডি ধারাকে এদিন কর্ণাটক হাইকোর্টের বিচারপতি বি ভীরাপ্পা ও বিচারপতি কে নটরঞ্জনের ডিভিশান বেঞ্চ পরিবর্তন করার সুপারিশ করেছেন। কেন্দ্রীয় আইন বিভাগ এবং কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে ধর্ষণকাণ্ডে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও জরিমানা সঙ্গে সঙ্গে মৃত্যুদণ্ডকেও যুক্ত করার আর্জি জানানো হয়েছে।এই দুই বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, ধর্ষণ কেবল মেয়েদের উপর অত্যাচার নয় এটি সমাজের বিরুদ্ধে একটি অপরাধ। আদালতের তরফে যোগ করা হয়, ‘ধর্ষণ কেবল মেয়েদের ওপর অত্যাচার নয়, সমাজের বিরুদ্ধে একটি অপরাধ।’