পড়াশোনা করাতে হবে সন্তানদের। টিভি কিনতে মঙ্গলসূত্র বন্ধক রাখল মা!
করোনার আবহে দেশে লকডাউনের মাঝামাঝি সময় থেকেই চালু হয়েছিল স্কুল। অবশ্যই অনলাইনে। করোনার প্রকোপে স্কুল, কলেজ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ। কবে সব খুলবে, কবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে তাও কেউ জানে না। তা ছাড়া বাচ্চাদের এই পরিস্থিতিতে কোনওমতেই স্কুলে পাঠাতে চাইছে না অভিভাবকরাও। কিন্তু অনলাইনে ক্লাসের জন্য লাগবে স্মার্ট ফোন নয়তো কম্পিউটার বা ল্যাপটপ। কিন্তু ১৩০ কোটির দেশে অনেক মানুষই আছেন যাঁদের ঘরে এই তিনটির একটিও কেনার সামর্থ্য নেই।
এমনকী সরকার আজ বললে কাল স্মার্টফোন কিনে ফেলার সামর্থও নেই অনেক বাবা-মায়ের। তা হলে কি এই পরিস্থিতিতে তাঁদের সন্তানরা পড়াশোনা করবে না! কী হবে সেই সব শিশুদের ভবিষ্যৎ? এই ভেবে সম্প্রতি সেই সব দিক বিবেচনা করে কর্নাটকের সরকার টিভির মাধ্যমে বাচ্চাদের এই পরিস্থিতে পড়াশোনা করানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সব বাড়িতে স্মার্টফোন নেই। কিন্তু তুলনামূলক বেশি বাড়িতে টিভি রয়েছে। তাই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কর্ণাটকের সরকার। কিন্তু তাতে প্রশ্ন থাকে। অনেক বাড়িতে তো টিভি পর্যন্ত নেই। অথচ সেইসব বাড়িতে মেধাবি ছাত্র-ছাত্রী রয়েছে। তাদের ভবিষ্যত কী অন্ধকারে ডুবে যাবে! স্রেফ একটা টিভি ছিল না বলে!
Karnataka: Woman in Gadag mortgages her mangalsutra to buy television set for her children, following state govt's decision to teach children through TV. Kasturi, the woman, says, "Teacher asked us to buy TV but we had no money. I can't send children to neighbours house daily." pic.twitter.com/eSnPDRno2t
বিজ্ঞাপন
— ANI (@ANI) July 31, 2020
বিজ্ঞাপনআর তাই সন্তানদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে এক মা তাঁর মঙ্গলসূত্র বন্ধক রেখে কিনলেন টিভি। নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের বাবা-মায়েরা বাস্তবের রুক্ষ জমিতে দাঁড়িয়ে অনেক সময় কঠিন সিদ্ধান্ত হাসি মুখে নিয়ে ফেলেন। বলা ভাল নিতে বাধ্য হন। এক্ষেত্রেও তাই।
বিজ্ঞাপনকস্তুরি নামের সেই মা থাকেন কর্নাটকের গডগে। তিনি জানিয়েছেন, “প্রশাসন জানিয়েছিল টিভির মাধ্যমে বাচ্চাদের পড়ানো হবে। কিন্তু আমাদের বাড়িতে টিভি নেই। এই পরিস্থিতিতে টিভি কেনার সামর্থও নেই। তাই মঙ্গলসূত্র বন্ধক রেখে টিভি কিনেছি। বাচ্চাদের রোজ প্রতিবেশির বাড়িতে পাঠানো যায় না। আর ওদের পড়াশোনা বন্ধ করতে চাইনি।”
বিজ্ঞাপন