শপথগ্রহণে সমস্ত রাজনীতিকে সরিয়ে মোদিকে আমন্ত্রণ কেজরিওয়াল-এর
আগামী রবিবার দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী পদে রামলীলা ময়দানে তৃতীয়বারের জন্য শপথ গ্রহণ করবেন আপ সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়াল। এই নিয়ে পরপর তিনবার দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর মসনদে বসবেন কেজরিওয়াল। তাই এবারের মুখ্যমন্ত্রী পদের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানকে অন্যান্যদের শপথগ্রহণের অনুষ্ঠানের থেকে পৃথক করতে চান আপ সুপ্রিমো। তাই জয়ের কৃতিত্ব জনগণকে দিয়ে শপথগ্রহণের অনুষ্ঠানে ‘ছোটা মাফলারম্যান’ সহ শুধুমাত্র দিল্লিবাসী হাজির থাকবেন বলে প্রথমে জানানো হয়, আপ ছাড়া কোনও রাজনৈতিক দলের কেউ সেখানে থাকবে না বলে জানিয়েছিলেন আপের সেকেন্ড-অন-কম্যান্ড মণীশ সিসোদিয়া। কিন্তু সেই ঘোষণার পর ২৪ ঘণ্টাও কাটল না। শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে আমন্ত্রণ জানালেন খোদ কেজরিওয়াল। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জোর সমালোচনা শুরু হয়েছে। তাহলে কী তলে-তলে মোদি-কেজরিওয়াল যোগ রয়েছে? এমন প্রশ্নও তুলেছেন বিরোধীরা।
দিল্লি ভোটে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের দল আপের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল বিজেপি। নরেন্দ্র মোদি, অমিত শাহও কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে প্রচার করেন। ভোট কাটতে কেজরিওয়াল সহ আপের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ তুলতেও পিছুপা হননি বিজেপি নেতারা। এমনকি জঙ্গি তকমাও পেয়েছিলেন কেজরিওয়াল। যদিও শেষপর্যন্ত আপের জয় হয় এবং কেজরিওয়ালকে শুভেচ্ছা জানিয়ে ট্যুইট করেন প্রধানমন্ত্রী। তারপর কেজরিওয়ালও প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে পাল্টা ট্যুইট করেন। এবার শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে সমস্ত রাজনীতিকদের বাদ দিয়ে কেবল নরেন্দ্র মোদিকে আমন্ত্রণ জানানোয় স্বভাবতই একাধিক জল্পনা শুরু হয়েছে। নিছক রাজনৈতিক সৌজন্যতা নাকি এর পিছনে কোনও নয়া রাজনৈতিক সমীকরণের ইঙ্গিত রয়েছে, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন রাজনীতিকদের একাংশ।