লাদাখ সীমান্তের উত্তপ্ত পরিস্থিতি নিয়ে এবার ব্রিগেডিয়ার-কর্নেল পর্যায়ের বৈঠক ভারত-চীনের!
অনেকদিন ধরেই চলছে বিভিন্ন পর্যায়ের আলাপ-আলোচনা। কিন্তু এখনও বেরোয়নি কোনও সমাধানসূত্র। তবে এখনই হাল ছাড়তে রাজি নয় ভারত এবং চীন। বরং লাদাখে তৈরী হওয়া প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর সীমান্ত বিবাদ মেটাতে আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার পক্ষেই সায় দিল দুই দেশ।
মে মাসের গোড়ার দিক থেকে বাড়তে থাকা সীমান্ত উত্তেজনা নিয়ে শনিবার ভারত-চীন লেফটেন্যান্ট জেনালের পর্যায়ের একটি বৈঠক হয়। পূর্ব লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার একেবারে কাছে চুসুল-মলডো এলাকায় সেই বৈঠকে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করেন ১৪ কর্পের লেফটেন্যান্ট জেনারেল হরিন্দর সিং। অন্যদিকে চীনের তরফে ছিলেন মেজর জেনারেল লিউ লিন। যিনি দক্ষিণ জিনজিয়াং সামরিক এলাকার কম্যান্ডার।
শনিবারের বৈঠকে অবশ্য কোনও রকম সমাধান সূত্র বেরোয়নি। এবং বৈঠক অমীমাংসিতভাবে শেষ হয়েছে। তবে ‘আন্তরিক এবং ইতিবাচক’ সেই বৈঠকের পর বিদেশ মন্ত্রকের তরফে বিবৃতি জারি করে জানানো হয়, বিভিন্ন দ্বি-পাক্ষিক চুক্তি অনুযায়ী শান্তিপূর্ণভাবে সীমান্ত এলাকার উত্তেজনা সমাধানের পক্ষে একমত হয়েছে নয়াদিল্লি এবং বেজিং। দু’দেশের রাষ্ট্রনেতাদের মধ্যে চুক্তির কথা মাথায় রেখে দ্বি-পাক্ষিক সম্পর্ক বাড়ানোর ক্ষেত্রে ভারত-চীন সীমান্তে ‘শান্তি এবং স্থিতিশীলতা’ বজায় রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মন্তব্য করে সাউথ ব্লক।
আপাতভাবে জানা গিয়েছে, শনিবার হওয়া বৈঠকে সীমান্ত বিবাদ নিয়ে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করেছেন দু’দেশের মিলিটারি কম্যান্ডার। প্রতিটি বিষয় ধরে ধরে সমস্যা সমাধানের জন্য একটি নির্দিষ্ট স্থানে ব্রিগেড এবং ব্যাটেলিয়ন কম্যান্ডার পর্যায়ের বৈঠকও হতে চলেছে।
আলোচনায় দু’পক্ষই জানায়, চলতি বছর নয়াদিল্লি এবং বেজিংয়ের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৭০ বছর পূর্তি। সীমান্ত উত্তেজনার দ্রুত সমাধানের মাধ্যমে সেই সম্পর্ক আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যাবে বলে মত পোষণ করে দু’দেশ।