গর্বের প্রধানমন্ত্রী কিষাণ প্রকল্পে ব্যাপক সংখ্যায় জাল উপভোক্তা থাকার অভিযোগ! টাকা নয়ছয়ের অভিযোগ!
মুখ পুড়লো দেশের শাসক দলের। বিজেপির অত্যন্ত সাফল্যের প্রধানমন্ত্রী কিষাণ প্রকল্পে (PM Kisan scheme) উঠলো অর্থ নয়ছয়ের অভিযোগ। ২০১৮ সালে প্রকল্পের কাজ শুরু হওয়ার পর থেকে প্রথমবারের জন্য অনুসন্ধান চালায় কৃষিমন্ত্রক। সেখানেই উঠে এসেছে জাল উপভোক্তা থাকার মতো গুরুতর অভিযোগ। দুই বছর আগে শুরু হওয়া এই প্রকল্পে সারা দেশে কৃষকদের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার বছরে প্রত্যেক কৃষককে ৬০০০ টাকা দিয়ে থাকে।
কৃষিমন্ত্রকের স্যাম্পেল পরীক্ষায় দেখা যাচ্ছে ১২ লক্ষ উপভোক্তা, মোটের হিসেবে ৪%-এর মতো এই সুবিধা পাওয়ার যোগ্য নয়। তবে সারা দেশে উপভোক্তার সংখ্যা ১০ কোটি হয়, তাহলে তার মধ্যে ৪০ লক্ষ এই সুবিধা পাওয়ার উপযুক্ত নয়। অর্থের নিরিখে যার পরিমাণ বছরে প্রায় ২৪০০ কোটি টাকার মতো।
তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে কৃষিমন্ত্রকের তরফে সব রাজ্যকেই কৃষকদের যাচাই করার নির্দেশ দিয়েছিল। কিন্তু মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ু, রাজস্থানকে বাদ দিয়ে আর কোনও বড় রাজ্য এব্যাপারে যাচাই-এর রিপোর্ট কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে জমা দেয়নি। সেই তালিকায় রয়েছে বিজেপি শাসিত উত্তর প্রদেশ এবং ভোটে যাওয়া বিহারও। বেশিরভাগ রাজ্যের তরফে জানানো হয়েছে করোনা পরিস্থিতির সঙ্গে মোকাবিলা করতে গিয়েই তাদের পরিস্থিতি খারাপ। সেই পরিস্থিতিতে ভেরিফিকেশন করা তাদের পক্ষে কঠিন কাজ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। প্রসঙ্গত উল্লেখযোগ্য কুশ শর্মার (Kush Sharma) করা আরটিআই-এর জেরে এই তথ্য সামনে এসেছে।
এক সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত খবর জানাচ্ছে, অসমে ১.৬১ লক্ষ সুবিধাভোগী। এর মধ্যে অনুসন্ধানে দেখা গিয়েছে, প্রায় ১৬ শতাংশ অর্থাৎ ২৬,০১৯ জন এই প্রকল্পে সুবিধা পাওয়ার উপযুক্ত নন। অন্ধ্রপ্রদেশে ২.২৪ লক্ষ সুবিধাভোগীর মধ্যে ১২,২৯১ জন সুবিধা পাওয়ার উপযুক্ত নন। মহারাষ্ট্রে ১.৬৪ লক্ষ সুবিধাভোগীর মধ্যে ২৪৫০ জন সুবিধা পাওয়ার উপযুক্ত নন।
প্রাপ্ত তথ্যে দেখা গেছে ২০১৮-তে যখন এই প্রকল্প শুরু করা হয়েছিল সেই সময় বলা হয়েছিল ২ হেক্টর পর্যন্ত যাঁদের জমি রয়েছে, সেই সব কৃষককে বছরে ৬ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। আর ২০১৯-এর নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিতে বলা হয় দেশের সব কৃষকই এই সাহায্য পাবেন। ফলে দেশের প্রায় ১৪.৫ কোটি কৃষকের এই সুবিধা পাওয়ার কথা। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে সরকারি ওয়েবসাইটে দেখা যাচ্ছে বর্তমানে ১১.১৭ কোটি কৃষক এই সুবিধা পাচ্ছেন।