দেশে এখন সবচেয়ে আলোচিত বিষয় লাভ জিহাদ! ভারতবর্ষের মতো দেশে এই সমস্যার মূল শিকড় অনেকটা গভীরে। বিগত কিছু বছরে লভ জিহাদের বাড়বাড়ন্ত মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে কেন্দ্র থেকে শুরু করে রাজ্য সরকারের।
তাই এবার লাভ জিহাদের মত গর্হিত কাজ রুখতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিতে চলেছে একাধিক রাজ্য। এই ব্যাপার আইন প্রনয়ণের কথাও ভাবছে উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ সহ একাধিক রাজ্যের সরকার। সেলিব্রিটি থেকে শুরু করে আম আদমি লাভ জিহাদের শিকার হয়েছেন প্রায় সবাই।
প্রায় নিত্যদিনই কেউ না কেউ এই বিষয়ে মুখ খোলেন। কিছু খবর পাওয়া যায় কিছু চাপা পড়ে যায়। এরই মাঝে এবার আরও একটি লভ জিহাদের ঘটনা সামনে এসেছে।
সম্প্রতি মধ্যপ্রদেশে শহডোল জেলার এক হিন্দু মহিলা তাঁর ইসলাম সম্প্রদায়ভুক্ত শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ করেছেন। তাঁর অভিযোগ, শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাঁকে আরবি, উর্দু শিখতে জোর করছিল।
Related Posts
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে এলাকারই ইরশাদ নামের এক মুসলিম যুবকের সঙ্গে বাড়ির অমতে বিয়ে করেছিলেন ওই মহিলা। তিনি মুসলিম নিয়ম মেনেই বিয়ে করেছিলেন। বিয়ের পর থেকেই স্বামী ইরশাদ ও তাঁর বাড়ির লোকজন তাঁকে আরবি, উর্দু শেখার জন্য চাপ দিচ্ছিলেন বলে জানান সেই মহিলা। এমনকী ইরশাদ তাঁকে বেশ কিছু মুসলিম ধর্ম সম্পর্কিত বই এনে দেন বলেও জানিয়েছেন তিনি। এমনকী শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাঁর হাত একটি তাবিজ বেঁধে দিয়েছিলেন বলেও জানান তিনি। তাঁকে বলা হয়েছিল, সেই তাবিজ খারাপ দৃষ্টি থেকে তাঁকে বাঁচাবে। এমনকী তাঁর মা-বাবার বলা কোনও খারাপ কথাও প্রভাব ফেলবে না। দিনের পর দিন এসব আর সহ্য করতে না পেরে সেই মহিলা শ্বশুরবাড়ি থেকে লুকিয়ে বাপের বাড়ি চলে আসেন।
এখন কি বক্তব্য ওই হিন্দু মহিলার?
ভিন্ন ধর্মে বিয়ে করে পস্তানো ওই মহিলা বলেছেন, ”দুবছর আগে ইরশাদকে বিয়ে করে আমি ভুল করেছি। আমি হিন্দু মেয়ে। মুসলিম রীতি-রেওয়াজের সঙ্গে মানিয়ে নিতে অসুবিধা হচ্ছিল। তাছাড়া আমাকে উর্দু, আরবি শিখতে জোর করা হচ্ছিল। আমি এখন থেকে এখানেই থাকব। আর শ্বশুরবাড়ি যাব না।” সেই মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে ইরশাদ নামের ওই যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিস। তদন্ত চলছে। এমনিতেই মধ্যপ্রদেশে শিবরাজ সিং চৌহানের সরকার লভ জিহাদ রুখতে বদ্ধপরিকর। তাই এই ঘটনায় পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হবে বলে জানিয়ে রেখেছে প্রশাসন।