বাংলার মহিলাদের জন্য ৫০০, কিন্তু ভিনরাজ্য মেঘালয়ে ক্ষমতায় এলে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে মহিলাদের ১০০০ টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেন মমতা
একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে এ রাজ্যে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই প্রকল্পে মহিলারা মাসে ৫০০ টাকা ও তফশিলি জাতি ও উপজাতির মহিলারা ১০০০ টাকা করে পাবেন বলে ঘোষণা করা হয় সরকারের তরফে। রাজ্যে তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর সে প্রতিশ্রুতি রেখেছে মমতা সরকার। সেই প্রকল্পের নাম লক্ষ্মীর ভাণ্ডার। আর মাস দুই পরই মেঘালয়ে ভোট। এর আগে সে রাজ্যে সফরে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করলেন যে সে রাজ্যে যদি তৃণমূল ক্ষমতায় আসে, তাহলে মহিলাদের মাসে ১০০০ টাকা করে দেওয়া হবে।
তবে মেঘালয়ের ক্ষেত্রে এই প্রকল্পের নাম দেওয়া হয়েছে ‘উই কার্ড।’ এদিন ইউ সোসো থাম অডিটোরিয়ামে মেঘালয় তৃণমূলের কনভেনশনে একটি তথ্যচিত্র দেখানো হয়। সেখানে বলা হয় যে তারা যদি সে রাজ্যে ক্ষ্মতায় আসে, তাহলে ঘরে ঘরে উই কার্ড পৌঁছে দেবে সরকার।
ইতিমধ্যেই এরজন্য মেঘালয় তৃণমূলের কর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে মহিলাদের ফর্ম ফিলআপ করাচ্ছেন। তথ্যচিত্রে দেখানো হয়েছে যে মহিলাদের একটি স্মার্ট কার্ড দেওয়া হবে। তা স্ক্র্যাচ করলেই টাকা তুলতে পারবেন তারা। প্রত্যেক মাসে ওই কার্ডে এক হাজার টাকা করে ট্রান্সফার করবে সরকার। এদিন একজনের হাতে সেই প্রতীকী কার্ড তুলেও দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মহিলাদের ক্ষমতায়ন রূপেই এই প্রকল্পকে তুলে ধরতে চেয়েছেন মমতা। এর পাশপাশি, বাংলায় যেমন স্বাথ্যসাথী কার্ড রয়েছে, তেমনই মেঘালয়েও হেলথ স্কিম চালু করার কথাও এদিন ঘোষণা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বলে রাখি, এর আগেও গোয়ায় বিধানসভা নির্বাচনের আগে সেখানকার মহিলাদের মাসে ৫০০০ টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল তৃণমূলের তরফে। তবে কোঙ্কণ উপকূলের সে রাজ্যে জমি পায়নি ঘাসফুল শিবির। তবে মেঘালয়ের বিষয়টি একটু আলাদা। এ রাজ্যে প্রধান বিরোধী দল হল তৃণমূল। তাই এবার সে রাজ্যের নির্বাচনে তৃণমূল কতটা সুবিধা করতে পারে, এখন সেটাই দেখার।