‘গরু পাচারের টাকাতেই ১৬ কোটি টাকার ফিক্সড ডিপোজিট রয়েছে কেষ্ট-কন্যা সুকন্যার’, ইডি-র জেরায় জানালেন অনুব্রতর হিসাবরক্ষক

গরু পাচার মামলার (cattle smuggling case) জল আরও এগোচ্ছে। এই মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mandal) হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারিকে (Manish Kothari)। দু’দিন আগেই ইডি-র জেরায় অনুব্রত বলেন যে তিনি মণীশের কথাতেই নানান জায়গায় বিনিয়োগ করেছেন। মণীশের ঘাড়েই সব দোষ চাপান তিনি। আর একথা ইডি আধিকারিকদের (ED officers) মুখ থেকে শোনার পর কান্নায় ভেঙে পড়েন মণীশ। এরপরই বিস্ফোরক তথ্য জানান গরু পাচার মামলায়।
মণীশের কথায়, তিনি নিজের মালিকের নির্দেশেই সব কাজ করেছেন, তাঁর দাবী, অনুব্রতর নির্দেশেই তিনি নানান জায়গায় লগ্নি করেছেন। কোথায়, কার অ্যাকাউন্টে কত টাকা রাখা হবে, তা তাঁকে বলে দিতেন অনুব্রতই। তিনি পেশাদার হিসাবরক্ষক হিসেবে সমস্ত নির্দেশ পালন করে গিয়েছেন বলে দাবী মণীশের।
এর আগে অনুব্রত কন্যা সুকন্যা মণ্ডল ইডি-র জেরায় বলেছিলেন যে টাকাপয়সার বিষয়ে মণীশবাবু সবটা জানেন। সেই বয়ানের সূত্র ধরেই গ্রেফতার করা হয় মণীশ কোঠারিকে। জানা গিয়েছে, ২০১৬ সাল থেকে অনুব্রত মণ্ডলের টাকাপয়সার হিসাব রাখার দায়িত্বে ছিলেন তিনি। এদিন জেরায় মণীশ এও দাবী করেন যে গরু পাচারের টাকাতেই সুকন্যা মণ্ডলের ১৬ কোটি টাকার ফিক্সড ডিপোজিট করা হয়েছিল।
এর পাশাপাশি সুকন্যা মণ্ডলের একাধিক সংস্থার হিসেবও মণীশই দেখতেন বলে জানা গিয়েছে। মনে করা হচ্ছে, অনুব্রত ও সুকন্যার বিপুল টাকার লেনদেন, তার সেল কোম্পানির বিপুল টাকার হিসাব রাখতেই ব্য়বহার করা হয়েছে মণীশকে। জানা গিয়েছে, সায়গল হোসেনের অ্যাকাউন্টও দেখতেন মণীশ কোঠারি। অনুব্রতর কালো টাকা সাদা করেছেন এই মণীশই।
এদিকে, আজ, শুক্রবার অনুব্রতকে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার মামলার শুনানি ছিল দিল্লি হাইকোর্টে। আসানসোল জেল থেকে অনুব্রতকে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল দিল্লি রাউস অ্যাভিনিউ কোর্ট। নিম্ন আদালতের সেই এক্তিয়ার রয়েছে কী না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিল্লি হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন কেষ্ট।
তিনি আরও অভিযোগ করেন যে কলকাতা থেকে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার সময় আইনি প্রক্রিয়া ঠিকঠাক মানা হয়নি। এদিন আবার এই গরু পাচার মামলাতেই দিল্লিতে ইডি-র দফতরে হাজিরা দিয়েছেন অনুব্রতর রাঁধুনি বিজয় রজক। তারও বিপুল সম্পত্তির হদিশ মিলেছে। তার এমন বিশাল সম্পত্তি কোথা থেকে এল, তা তদন্ত চালাচ্ছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা।