BREAKING: হাথরাস কাণ্ডে নতুন মোড়! বৌদি সেজে পরিচয় দেওয়া মহিলা আদতে নকশাল নেত্রী! দাবি পুলিশের!
দেশীয় রাজনীতি এখন তোলপাড় হাথরাস গণধর্ষন (Hathras Gang Rape) কাণ্ড নিয়ে। যোগীর রাজ্যে ঘটে যাওয়া এই নির্মম, পাশবিক ঘটনা নড়িয়ে দিয়েছে পুরো দেশকে। আঁচ লেগেছে বিদেশেও। মুখ পুড়েছে ভারতবর্ষের মডেল রাজ্যের। নির্যাতিতাকে সঠিক বিচার পাইয়ে দেওয়া তো দূর পরিবারকে মুখ না খোলার নিদান দিয়েছেন উত্তরপ্রদেশের আধিকারিকেরা। অবশেষ হাথরস কাণ্ডের তদন্ত ভার গিয়ে উঠেছে সিবিআইয়ের (CBI) হাতে।গতকাল অর্থাৎ শনিবার এক বিবৃতি জারি করে কেন্দ্রীয় সরকার এই ঘটনার তদন্তের দায়িত্ব সিবিআই-এর হাতে তুলে দেওয়ার ঘোষণা করে। আর আজই এই বিতর্কিত কাণ্ডে দেখা দিয়েছে এক নতুন মোড়। হাথরাস-এ নির্যাতিতার বাড়ির ওপর নজর রাখার জন্য চারিদিকে লাগানো হয়েছে সিসিটিভি (CCTV) । সিভিল ড্রেসে পাহারায় রয়েছে পুলিশ। প্রায় নজরবন্দি রয়েছে পুরো পরিবার।
সুত্রের খবর সিসিটিভি লাগানোর পর থেকেই নির্যাতিতার বাড়ি থেকে একের পর আত্মীয়-পরিজন ফিরে যাচ্ছেন। তবে সবথেকে উল্লেখযোগ্য হল জানা গিয়েছে, এতদিন পর্যন্ত নির্যাতিতার বৌদি(Sister-in-Law) হিসেবে পরিচয় দেওয়া সেই মহিলা আদতে একজন নকশাল নেত্রী। এতদিন পর্যন্ত ওই মহিলা নির্যাতিতার বৌদি সেজে পুলিশ থেকে শুরু করে মিডিয়া সবাইকে বয়ান দিতেন। পারিবারিক জিজ্ঞাসাবাদের সময় এসআইটি-র সামনেও ছিলেন সেই মহিলা। এসআইটি-র সদস্যদের সবারই প্রথম থেকেই ওই মহিলার ওপর সন্দেহ হয়। তার পরই পুলিস ওই ছদ্দবেশী মহিলার পরিচয় খুঁজতে নেমে পড়ে। জানা যায়, জবলপুরে একটি মেডিকেল কলেজের অধ্যাপিকা তিনি। নকশাল আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তাঁর নাম রাজকুমারী বানসাল। জামালপুরে থাকেন তিনি। সুভাষচন্দ্র বোস মেডিকেল কলেজের অধ্যাপিকা তিনি। পরিচয় জানাজানি হওয়ার পর ওই মহিলা দাবি করেছেন, তিনি মানবিকতার খাতিরে নির্যাতিতার পরিবারের লোকজনের কাছে চলে আসেন। এই ঘটনার কথা শোনার পরই তিনি হাথরসের বুলগড়ী গ্রামে আসেন। এদিকে নির্যাতিতার পরিবারের দাবি, ওই মহিলা তাঁদের দুঃসম্পর্কের আত্মীয়া। পরিবারের এমন বিপদের দিনে আর পাঁচজন আত্মীয়ের মতো তিনিও এখানে এসে তাঁদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য উত্তরপ্রদেশের যুবতী খুনের ঘটনা রোজই যেন নতুন মোড় নিচ্ছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী নির্যাতিতার শরীরে ধর্ষণের কোনও চিহ্ন ছিলনা। ফরেন্সিক রিপোর্টও সেই তথ্যকেই মান্যতা দিয়েছে।