মুকেশ আম্বানির সাফল্যের মুকুটে নয়া পালক, এবার ১০০ বিলিয়ন ডলার ক্লাবে প্রবেশ করলেন রিলায়েন্স কর্ণধার
এশিয়ার ধনীতম ব্যক্তি মুকেশ আম্বানির সম্পত্তির পরিমাণ এবার আবার বাড়ল। আরও বেশি সম্পত্তির মালিক হলেন তিনি। সদস্য হলেন ১০০ বিলিয়ন ডলার ক্লাবের। এলন মাস্ক, জেফ বেজোসের মতো এবার মুকেশ আম্বানির সম্পত্তির পরিমাণও ছাড়াল ১০০ বিলিয়ন ডলার।
গতকাল, শুক্রবারই এই নতুন নজির গড়েছেন মুকেশ আম্বানি। ‘ব্লুমবার্গ বিলিওনেয়ার্স ইনডেক্স’-এর পরিসংখ্যান অনুযায়ী এই মুহূর্তে তাঁর মোট সম্পত্তির পরিমাণ ১০০.৬ বিলিয়ন ডলার। চলতি বছরে তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ মোট ২৩.৮ বিলিয়ন ডলার বৃদ্ধি পেয়েছে। এর জেরেই নতুন এই মাইলফলক ছুঁয়েছেন আম্বানি।
২০০৫ সালে মুকেশ আম্বানি বাবার ব্যবসার হাল ধরেন। তিনিই সংস্থার ব্যবসার ক্ষেত্রকে বাড়িয়ে তা প্রযুক্তি, ই-কমার্সের সঙ্গেও যুক্ত করেন। তাঁর নেতৃত্বেই ২০১৬ সালে টেলিকমিউনিকেশনের দুনিয়ায় কার্যত বিপ্লব এনে দেয় জিও। গত বছর শুধুমাত্র জিও থেকেই আম্বানির সংস্থা রোজগার করেছে ২৭ বিলিয়ন ডলার।
সবসময়ই কোনও না কোনও নতুন ক্ষেত্রে নিজের ব্যবসাকে বাড়াতে উদ্যোগ নিয়েছেন মুকেশ আম্বানি। চলতি বছরের জুন মাসেই তাঁর সংস্থা পুনর্ব্যবহারযোগ্য শক্তি উৎপাদনের জন্য উদ্যত হয়েছেন। আগামী তিন বছরের জন্য ওই খাতে তিনি বিনিয়োগ করেছেন ১০ লক্ষ বিলিয়ন ডলার।
গত ১০ বছর ধরে দেশের ধনীতম ব্যক্তির তালিকায় মুকেশ আম্বানির নাম থাকলেও, বেশ দ্রুতই তাঁর কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছেন গৌতম আদানি। ২০২১ সালে আম্বানির রোজগার বেড়েছে ৯ শতাংশ, কিন্তু এদিকে আদানির উপার্জন লাফ দিয়ে বেড়েছে ২৬১ শতাংশ।
এর জেরে আদানির সংস্থার বাজার মূলধন ৯ লক্ষ কোটি টাকা। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, তিনি ১ লক্ষ কোটি টাকার পাঁচটি সংস্থার মালিক। এশিয়ার ধনীতম ব্যক্তিদের তালিকায় তিনি ঠিক রিলায়েন্স কর্ণধারের পরেই রয়েছেন। তবে এবার ১০০ বিলিয়ন ডলার ক্লাবে প্রবেশ করে আম্বানি নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বীদের বেশ চমকেই দিলেন।