নিজের নাম শিবা বলে কপালে টিকা লাগিয়ে মন্দিরে ঢোকে মুসলিম যুবক তৌফিক, ‘জয় শ্রী রাম’ ধ্বনি তুলেই ভাঙে হনুমান মূর্তি
উত্তরপ্রদেশের গোমতী নদীর ধারে রয়েছে এক শয়নরত হনুমান মন্দির। সেই মন্দিরে ঢুকেই মূর্তিতে ভাঙচুর চালাল এক মুসলিম যুবক তৌফিক আহমেদ। মন্দিরে থাকা একটি পতাকাও ছিঁড়ে দেয় সে। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
জানা যাচ্ছে, ওই মুসলিম যুবক কপালে টিকা লাগান প্রথমে। এরপর প্রবেশ করে মন্দিরের ভিতর। তারপর মূর্তির সামনে ‘জয় শ্রী রাম’ ধ্বনি তুলেই একটি ইট দিয়ে ভাঙতে শুরু করে মূর্তি। ওই ব্যক্তি নেশাগ্রস্ত অবস্থায় ছিল বলে জানা গিয়েছে।
ওই মন্দিরের পুরোহিতের কথায়, মন্দিরের দরজা সকলের জন্যই খোলা। তৌফিক প্রথমে নিজের মাথায় টিকা লাগায়। এরপর মন্দিরের গর্ভগৃহে প্রবেশ করে। সেই জানায় যে তাঁর নাম শিবা। মন্দিরে ঢুকেই দুটি মূর্তি ভাঙচুর করা শুরু করে সে। পুলিশ যখন তাকে গ্রেফতার করে তখন সে জানায় যে তার নাম তৌফিক আহেমদ।
ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের লখনউয়ের চৌক থানা এলাকায়। গোমতী নদীর ধারে এক শয়নরত হনুমান মন্দিরে চলে এই ভাঙচুর। তৌফিক যখন ভাঙচুর চালায় তখন সেখানে উপস্থিত লোকজন তাকে বাধা দেয়। কিন্তু তাদের সঙ্গে অভদ্র আচরণ করে সে। লোকজন তাকে মারধর শুরু করে। মন্দিরের প্রধান ভিড়ের হাত থেকে তৌফিককে ছাড়িয়ে তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেন।
মন্দিরের পুরোহিত জানান যে তৌফিক টিকা লাগিয়ে মন্দিরের ভিতর যায়। তাকে তার নাম জিজ্ঞাসা করলে সে জানায় যে তার নাম শিবা। সে দাবী করে যে মন্দির দেখতে এসেছে। আর এরপরই ইঁট মেরে মন্দিরে হনুমান মূর্তি ভেঙে দেয়। এরপরই গরম হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেন অখিল ভারতীয় হিন্দু মহাসভার নেতা শিশির চতুর্বেদী। তিনি অভিযুক্তের কঠোর শাস্তির দাবী করেছেন।