ভারতে হানা দিলেই ‘নাগ’পাশে আটকাবে পাকিস্তান, নয়া ক্ষেপণাস্ত্রে শক্তিশালী হল ভারতীয় সেনা
পাকিস্তান ভারতের চিরশত্রু। সীমান্তে পাকিস্তানের সঙ্গে বরাবরই অশান্তি লেগে থাকে ভারতের। হালে ভারত ও চীনের মধ্যে সীমান্ত ঝামেলার পর থেকেই ভারত তার অস্ত্রভান্ডারের সামরিক শক্তি বৃদ্ধি করার কাজ শুরু করেছে। এর কারণে কিছুদিন আগেই ফ্রান্স থেকে নিয়ে আসা হয়েছে বহু প্রতীক্ষিত রাফায়েল আবার অন্যদিকে রাশিয়ার কাছ থেকে নিয়ে আসা হচ্ছে S-400। শুধু এখানেই শেষ নয়, ভারতীয় বায়ুসেনা বাহিনীর হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে ভারতীয় প্রযুক্তিতে তৈরি করা হ্যালের তরফ থেকে যুদ্ধ কপ্টার। এবার আবার ভারত ‘নাগ’ এর ব্যবস্থা করেছে চীন এবং পাকিস্তানকে শিক্ষা দেওয়ার জন্য।
কেমন দেখতে এই নতুন ক্ষেপণাস্ত্রটি?
এই ক্ষেপণাস্ত্রটি কিন্তু একেবারে সাপের মত যে কোন পরিবেশের জন্য তৈরি করা হয়েছে। যেকোনো আবহাওয়াতে এটি ব্যবহার করা যেতে পারে। খুব সহজেই নিখুঁতভাবে শত্রুর ওপর হামলা চালাতে এই ক্ষেপণাস্ত্রটি সক্ষম। ভারতের তৃতীয় প্রজন্মের ক্ষেপণাস্ত্র এটি যা অ্যান্টি ট্যাঙ্ক গাইডেড ক্ষেপণাস্ত্র। অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে লক্ষ্যভেদে সক্ষম, যেকোনো সময় শত্রু ট্যাঙ্ককে গুঁড়িয়ে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে।
নাগ ক্ষেপণাস্ত্রের কর্মক্ষমতা সম্পর্কে জানা যায়, মাটি এবং আকাশ যেকোনো জায়গা থেকেই ছোঁড়া যায় ‘নাগ’। এটিকে মাটি থেকে ছুঁড়লে ৫০০ মিটার থেকে ৪ কিলোমিটার দূরত্বে থাকা ট্যাঙ্ককে নিমেষে গুঁড়িয়ে দিতে পারে। আবার অপরদিকে আকাশ থেকে ছোঁড়া হলে ৭ থেকে ১০ কিলোমিটার দূরত্ব পর্যন্ত লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারে এই ক্ষেপণাস্ত্র। উল্লেখ্য ১৯৮০ সালে ইন্টেগ্রেটেড মিসাইল ডেভেলপমেন্ট প্রকল্পের আওতায় যে পাঁচটি ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়, ‘নাগ’ তাদের মধ্যে অন্যতম একটি।
ত্রিশূল ক্ষেপণাস্ত্রের কথা এর আগে বহুবার ভারতে তোলা হলেও কাজ হয়নি, এটি ইন্টেগ্রেটেড মিসাইল ডেভেলপমেন্ট প্রকল্পের আওতায় ছিল। মাঝপথে বন্ধ হয়ে যায় এই ক্ষেপণাস্ত্রের নির্মাণ। তবে এবার এই মিসাইলটিকে স্বাধীনতা দিবসের আগের দিন অর্থাৎ ১৪ ই আগস্ট দেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং উন্মোচন করেন। এখানে ‘নাগ’কে নিয়ে কিছু বক্তব্য রাখতে দেখা যায় রাজনাথ সিংকে এবং এইদিন নাম না করে শত্রুদেশকে হুঁশিয়ারি দেন তিনি। তবে এখন বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন এই অস্ত্রটি সীমান্তের লড়াই করার কারণে ব্যবহার করা হতে পারে আর এই অস্ত্রটি আসলে LOC রক্ষা করতে দারুণভাবে সক্ষম। ইন্টেগ্রেটেড মিসাইল ডেভেলপমেন্ট প্রকল্পের আওতায় বাকি যে ক্ষেপণাস্ত্র গুলি ছিল সেগুলি হলো অগ্নি, পৃথ্বী, আকাশ; যা ইতিমধ্যেই সেনাদের হাতে পৌঁছেছে।
এখন এই ‘নাগ’ শত্রুদমনে কতটা পরিমাণে সক্ষম, সেটাই দেখার অপেক্ষা ভারতবাসীর।
প্রতিবেদনটি লিখেছেন – অন্তরা ঘোষ