‘টিকাকরণ কর্মসূচির সঙ্গে যুক্ত সকলকে আমার সেলাম’, শীঘ্রই দেশ পার করবে ১০০ কোটি টিকাকরণের গণ্ডি, উৎসাহিত প্রধানমন্ত্রী

দেশে ১০০ কোটি টিকাকরণের লক্ষ্য আর বেশি দূরে নয়। ইতিমধ্যেই দেশে ৯৪ কোটি টিকাকরণ হয়ে গিয়েছে। আর এই উদ্যোগেরই ভূয়সী প্রশংসা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
গতকাল, শনিবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের প্রিন্সিপ্যাল সেক্রেটারি ও নানান রাজ্যের মিশন ডিরেক্টরদের সঙ্গে বৈঠক করে নানান রাজ্যে টিকাকরণের অগ্রগতির সম্পর্কে জানতে চান।
এরপরই একটি ভিডিও শেয়ার করেন তিনি যেখানে দেখা যায় কীভাবে স্বাস্থ্যকর্মীরা দুর্গম পথ অতিক্রম করে টিকাকরণ কর্মসূচিকে বাস্তবায়িত করছেন। এই ভিডিও শেয়ার করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী লেখেন, “বিশ্বের বৃহত্তম ও দ্রুততম টিকাকরণ অভিযান আজ সফল হয়েছে এই স্বাস্থ্যকর্মীদের কঠোর পরিশ্রমের জন্য। দেশকে সুরক্ষিত করতে ওনাদের এই প্রচেষ্টা ও অনুদান সকলে মনে রাখবে”।
এই টুইটের জবাবেই টুইট করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও। তিনি লেখেন, “আমাদের দেশের নাগরিকদের টিকাকরণের জন্য বিভিন্ন স্টেকহোল্ডাররা যে প্রচেষ্টা চালিয়েছেন, তার একটি উদাহরণ মাত্র এটি। যারা দেশের টিকাকরণ কর্মসূচিকে সফল করছেন, তাদের সকলকে সেলাম”।
This is just one example of the monumental effort put in by every stakeholder to ensure our fellow citizens get vaccinated.
Kudos to each and every person who is making India’s vaccination drive a success. https://t.co/5L4yh0JNoR
— Narendra Modi (@narendramodi) October 9, 2021
জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের বৈঠক চলাকালীন স্বাস্থ্যমন্ত্রকের প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে যে টিকাকরণ অভিযানে দেশের প্রাথমিক লক্ষ্য হল ১০০ কোটি ডোজ টিকা প্রয়োগ করা। এখনও পর্যন্ত দেশে ৯৪ কোটি করোনার টিকা দেওয়া হয়েছে। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে যাতে বাকি ৬ কোটি টিকা দেওয়া হয়ে যায়, এমনই নির্দেশ দিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য।
এদিনের এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন অন্ধ্র প্রদেশ, অসম, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ, ছত্তীসগঢ়, গুজরাট, হরিয়ানা, ঝাড়খণ্ড, কর্নাটক, কেরল, মধ্য প্রদেশ, মহারাষ্ট্র, ওড়শা, পঞ্জাব, তামিলনাড়ু, তেলঙ্গনা, উত্তরাখণ্ড ও উত্তর প্রদেশের জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের প্রতিনিধিরা।
টিকাকরণে বিপুল সাফল্য এসেছে ঠিকই, কিন্তু স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা এখনও উড়িয়ে দিচ্ছেন না। তাদের দাবী, উৎসবের মরশুমে যদি সতর্কতা অবলম্বন না করা হয়, তাহলে চলতি মাসেই করোনার পরবর্তী ঢেউ আছড়ে পড়তে পারে।
জানা গিয়েছে, ইতিমধ্য়েই দেশে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১৯ হাজার ৭৪০ জন। গতকাল এই সংখ্যা ছিল ২১ হাজার ২৫৭ জন। এদিকে আবার করোনাকে হারিয়ে দেশে সুস্থ হয়ে ওঠার সংখ্যা বেড়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে ওঠার সংখ্যা সামান্য কমেছে। ২৩ হাজার ৭০ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন।