দেশের চতুর্থ আয়ুর্বেদ দিবসে দেশবাসীর জন্য উপহার নিয়ে এলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাও আবার একটা নয়, দুটো। উদ্বোধন করলেন দুই অত্যাধুনিক আয়ুর্বেদ চিকিৎসাকেন্দ্রের। এরই সঙ্গে দেশের প্রাচীন চিকিৎসা পদ্ধতি, আয়ুর্বেদ চিকিৎসাকে জিইয়ে রাখার ও বিশ্ব দরবারে তাকে যথাযথ সম্মান দেওয়ারও অঙ্গীকার করলেন প্রধানমন্ত্রী।
এদিন রাজস্থানের জয়পুরের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ আয়ুর্বেদ ও গুজরাটের জামনগরে ইনস্টিটিউট অফ টিচিং অ্যান্ড রিসার্চ ইন আয়ুর্বেদ-এর শুভ উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ভারচুয়ালি অনুষ্ঠিত এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রুপাণি, রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট ও দুই রাজ্যের রাজ্যপাল ও জনপ্রতিনিধিরা।
এদিন এই দুই অত্যাধুনিক আয়ুর্বেদ সেন্টার উদ্বোধন করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের প্রথাগত, চিরাচরিত চিকিৎসা পদ্ধতি ও আয়ুর্বেদ গবেষণায় জোর দেওয়ার সময় এসেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও আয়ুর্বেদ গবেষণার জন্য আলাদা গ্লোবাল সেন্টার তৈরি করছে। দিনদিন আয়ুর্বেদ চিকিৎসার গ্রহণযোগ্যতা বাড়ছে।
এদিন অনুষ্ঠানে মোদী এও বলেন যে, এই করোনা কালে দেশে আয়ুর্বেদের ব্যবহার বেড়েছে। করোনা সংক্রমণ রুখতে ও শরীরে প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ঘরে ঘরে হলুদ, আদার চাহিদা বেড়েছে। যখন করোনাকে ঠেকানোর জন্য কোনও ঔষধির ব্যবস্থা হয়নি, তখন এই আয়ুর্বেদ টোটকাই দেশবাসীকে রক্ষা করে রেখেছিল। এতো বড় দেশে, এতো জনসংখ্যা থাকা সত্ত্বেও যে করোনা সংক্রমণ লাগামছাড়া জায়গায় পৌঁছয়নি, তাতে এই প্রথাগত চিকিৎসারও ভূমিকা রয়েছে বলেই মনে করেন প্রধানমন্ত্রী।
Related Posts
এ বছর বাদল অধিবেশনে সংসদে দুটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। হোমিওপ্যাথির জন্য আলাদা কমিশন গঠন করা হয়েছে ও দেশজ পদ্ধতিতে ওষুধ তৈরির জন্য আলাদা কমিশন গঠন করা হয়েছে। এমনকি, জাতীয় শিক্ষানীতিতেও আয়ুর্বেদের উপর বেশ জোর দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালে ১৩ই নভেম্বর ধন্বন্তরি জয়ন্তীকে আয়ুর্বেদ দিবস হিসেবে ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রতি বছর এই দিনটিতে আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন মানুষদের সম্মান জানানো হয়। এবছরও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। তবে এই বছর উপরি পাওনা হিসেবে মিলেছে দেশের দুই রাজ্যে দুই অত্যাধুনিক আয়ুর্বেদ চিকিৎসাকেন্দ্র।