দেশ

মায়ের মরদেহ কাঁধে নিয়ে খালি পায়ে মায়ের শেষকৃত্যের উদ্দেশে রওনা মোদীর, করলেন মুখাগ্নি, শোকে বিহ্বল প্রধানমন্ত্রী

মায়ের মরদেহ কাঁধে তুলে নেওয়ার সময় বোধ হয় হাতটা একটু কেঁপেই উঠেছিল। তবুও সব নিয়ম মেনে মা-কে শেষ বিদায় তো জানাতেই হবে। সমস্ত নিয়ম পালন করে গান্ধীনগরের শ্মশানে মায়ের মুখাগ্নি করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

গত বুধবার আমেদবাদের ইউ এন মেহতা ইনস্টিটিউট অফ কার্ডিয়োলজি অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টারে ভর্তি হন প্রধানমন্ত্রীর মা হীরাবেন। গতকাল, বৃহস্পতিবার বিকেলেও খবর মিলেছিল যে তাঁর শারীরিক অবস্থার উন্নতি হচ্ছে। হাসপাতাল থেকে ছুটি দেওয়ার বিষয়েও কথাবার্তা চলছিল। কিন্তু এরইমধ্যে আজ, শুক্রবার ভোররাত ৩ টে ৩০ মিনিটে শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন মোদীর মা।

মায়ের মৃত্যুর খবর পেয়েই দিল্লি থেকে আমেদাবাদ পৌঁছন মোদী। বিমানবন্দর থেকে সোজা চলে যান ছোটো ভাই পঙ্কজের বাড়ি। সেখানেই রাখা ছিল মোদীর মায়ের মরদেহ।  ফুল দিয়ে মা-কে শেষ শ্রদ্ধা জানান তিনি। পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করে কাঁধে তুলে নেন মায়ের মরদেহ। খালি পায়ে হেঁটে শববাহী গাড়িতে তুলে দেন মা-কে।

এরপর গান্ধীনগরের শ্মশানে প্রধানমন্ত্রীর মায়ের মরদেহ নিয়ে আসা হয়। হিন্দুশাস্ত্র অনুযায়ী সমস্ত নিয়ম-রীতি মেনে শেষকৃত্যের প্রক্রিয়া চলে প্রধানমন্ত্রীর মায়ের। শেষে মায়ের মুখাগ্নি করেন মোদী। চিতা জ্বলে ওঠার পর মুখটা শক্ত রাখার চেষ্টা করলেও ভিতরে যে কতটা কষ্ট হচ্ছিল, তা মুখ দেখলেই বোঝা যাচ্ছিল।

প্রাথমিক সূত্রে খবর, আপাতত গান্ধীনগরেই থাকবেন মোদী। তাঁর পরিবারের তরফে আর্জি জানানো হয়েছে যাতে নির্দিষ্ট পরিকল্পনা মাফিক কাজ করে প্রধানমন্ত্রীর মা-কে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করা হয়। এদিন পূর্বনির্ধারিত পরিকল্পনা মতোই কলকাতায় একাধিক প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন মোদী তবে ভার্চুয়াল মাধ্যমে।

এদিন হাওড়া-নিউ জলপাইগুড়ি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস, জোকা-তারাতলা মেট্রো, বৈঁচি-শক্তিগড় তৃতীয় লাইন, ডানকুনি-চন্দনপুর চতুর্থ লাইন, নিমতিতা-নিউ ফরাক্কা ডবল লাইন এবং আমবাড়ি ফালাকাটা-নিউ ময়নাগুড়ি-গুমানিহাট ডাবলিং প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী ভারচুয়ালি। এছাড়াও ‘ডক্টর শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ওয়াটার অ্যান্ড স্যানিটেশন’-র উদ্বোধনও করবেন তিনি।

Related Articles

Back to top button