দেশ

ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য তুলে নেওয়া হচ্ছে না, সংস্কারের সুযোগ দিন, রাজ্যসভায় কৃষকদের আন্দোলন থেকে বিরত থাকার আর্জি মোদীর

নতুন ৩ কৃষি আইনের বিরুদ্ধে দিল্লিতে এখনও বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন কৃষকেরা। এখনও তাঁরা নিজেদের সিদ্ধান্তে অনড়। এদিকে কেন্দ্র বারবার বোঝানোর পরেও কোনও লাভ হচ্ছে না। এবার রাজ্যসভায় দাঁড়িয়ে কৃষকদের আন্দোলন থেকে বিরত থাকতে আর্জি জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

আজ রাজ্যসভায় কৃষকদের প্রতি আবেদন জানিয়ে মোদী বলেন যে এই সমস্যার সমাধান করতে আলোচনা চালিয়ে যাওয়া হবে। কৃষকদের এ নিয়ে চিন্তার কোনও কারণ নেই। তিনি এও আশ্বাস দেন যে ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য তুলে নেওয়া হচ্ছে না। কিষান মান্ডিগুলিকে আধুনিক করা হবে।

এদিনের সভাতেই মোদী এই প্রথম সংসদে কৃষক আন্দোলন নিয়ে কোনও প্রসঙ্গ তুললেন। এদিন তিনি কৃষকদের আন্দোলন থেকে সরে আসার পাশাপাশি নানান বিরোধী পক্ষের কৃষি আইন নিয়ে পাল্টি খাওয়ার অভিযোগও আনেন প্রধানমন্ত্রী।

কৃষি বিমা নিয়েও এদিন কথা বলেন তিনি। তাঁর কথায়, দেশে ১ হেক্টরের কম জমি রয়েছে, এমন জমির মালিক রয়েছে ৬৮ শতাংশ। ওই সমস্ত কৃষকদের কৃষি বিমা হিসেবে ৯০,০০০কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে। এছাড়াও, কিষান সম্মান নিধি প্রকল্পের জন্যও ১.১৫ লক্ষ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। এমনকি, কৃষকদের জন্য দেশে একটি অভিন্ন বাজার তৈরি করতেও চেষ্টা করছে কেন্দ্র।

এদিনের সভায় দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন যে দেশ গঠনের ক্ষেত্রে শিখদের ভূমিকা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। কিন্তু তাঁর কথায়, আন্দোলনের নামে কিছু মানুষ যে সমস্ত ভাষা ব্যবহার করছেন, তাতে দেশের ভালো হবে না। আর বিরোধীরা সরকারের দিকে আঙুল তুলছে। এরপর তিনি বলেন, “আজ সভাতে মনমোহনজি রয়েছেন, আমি তাঁর একটি বক্তব্য তুলে ধরলেই বোঝা যাবে বিরোধীরা কীভাবে কৃষি আইন নিয়ে এখন অন্য কথা বলছে”। বলে রাখি, মনমোহন সিং একসময় সংসদে বলেছিলেন যে ১৯৩০ সালের কৃষি আইনের দ্বারা কৃষকরা সর্বাধিক দামে তাদের পণ্য বিক্রি করতে পারেন না।

debangon chakraborty

Related Articles

Back to top button