যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা দেওয়া হল জঙ্গিনেতা ইয়াসিন মালিককে, হিংসার আশঙ্কা উপত্যকায়, শ্রীনগরে জারি কারফিউ

কাশ্মীরের জঙ্গিনেতা ইয়াসিন মালিককে যাবজ্জীবনের কারাদণ্ড দিল দিল্লির এনআইএ-এর বিশেষ আদালত। এর পাশপাশি, জঙ্গিদের আর্থিক মদত করার অপরাধে ১০ লক্ষ টাকার জরিমানাও করা হয়েছে নিষিদ্ধ জিঙ্গি সংগঠন জম্মু-কাশ্মীর লিবারেশন ফ্রন্টের প্রধান ইয়াসিন মালিককে।
Terror funding case | NIA Court in Delhi awards life imprisonment to Yasin Malik. pic.twitter.com/mxwH3dhWLc
— ANI (@ANI) May 25, 2022
গত ১৯শে মে সন্ত্রাসবাদীদের মদত ও আর্থিক সাহায্য করার মামলায় ইয়াসিন মালিককে দোষী সাব্যস্ত করে দিল্লির বিশেষ আদালত এনআইএ। জঙ্গিদের মদত দেওয়ার কথা আদালতে স্বীকার করে নেয় ইয়াসিন। তার সেই বয়ানের প্রেক্ষিতেই দোষী সাব্যস্ত করা হয় বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতাকে।
এরপর ২৫শে মে অর্থাৎ আজ সাজা ঘোষণা হয় ইয়াসিনের। এদিন ইয়াসিন মালিককে দু’টি যাবজ্জীবন জেলের সাজা শোনানো হয়েছে বলে খবর। এর পাশাপাশি, আরও ১০টি অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় বিচ্ছিন্নতাবাদী প্রধানকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ লক্ষ টাকার জরিমানা করা হয়েছে। আদালতের তরফে জানানো হয়েছে যে এই তিনটি সাজাই সমান্তরাল ভাবে চলবে।
বেশ কিছুদিন ধরেই জম্মু কাশ্মীর লিবারেশন ফ্রন্টের নেতা ইয়াসিন মালিকের বিরুদ্ধে জম্মু ও কাশ্মীরের নানান জায়গায় বিচ্ছিন্নতাবাদী কাজকর্ম চালানোর ও তা প্রচার করার অভিযোগ রয়েছে। এই কারণে এর আগে তাকে একাধিকবার গৃহবন্দিও করে রাখা হয়েছে। ইয়াসিনের সংগঠন জম্মু কাশ্মীর লিবারেশন ফ্রন্টকে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে আগেই নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। দু’বছর আগে জঙ্গিদের মদত দেওয়ার অভিযোগে ইয়াসিনকে গ্রেফতার করে এনআইএ। এরপর থেকেই জেলে রয়েছে সে।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে পুলওয়ামার ঘটনার পর জম্মু ও কাশ্মীরে ভারতীয় সেনা ধরপাকড় শুরু করে। সেই সময় ইয়াসিন মালিক-সহ আরও বেশ কিছু বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতাদের সঙ্গে জঙ্গিদের যোগসাজশের বিষয়টি সামনে আসে। এরপরই ইয়াসিন মালিককে গ্রেফতার করা হয়।