গাইডলাইন মেনে শুরু করা হবে গণপরিবহন পরিষেবা জানালেন নীতিন গড়করি

করোনা সংক্রমনের জেরে দেশব্যাপী জনজীবন বিপন্ন হয়ে পড়েছে। সংক্রমন রুখতে ২৫শে মার্চ থেকে দফায় দফায় লকডাউন চালু হয়েছে। গত ৪ঠা মে থেকে দেশে লকডাউন ৩.০ শুরু হয়েছে যার মেয়াদ ধার্য করা হয়েছে ১৭ই মে পর্যন্ত। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রের তরফ থেকে লকডাউনের নিয়ম কিছুটা করে শিথিল করা চালু হয়ে গিয়েছে।এরপর আরও কি ছাড় আসতে চলেছে? ১৭ মে’র পর কি আদৌ স্বাভাবিক ছন্দে ফিরবে দেশ? এই সব প্রশ্নের উত্তর মিলল বুধবার। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতিন গড়কড়ির কথায় শীঘ্রই দেশে পরিবহণ পরিষেবা চালু করা হবে বলে জানালেন তিনি।
এদিন বাস ও গাড়ি অপারেটর কনফেডারেশনের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠকে বসেছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। কোন কোন গাইডলাইন মেনে চলতে হবে এবং কীভাবে পরিষেবা চালু হবে সেই নিয়ে আলোচনা হয়। লকডাউনের জেরে মুখ থুবড়ে পড়েছে দেশের অর্থনীতি। এমন পরিস্থিতিতে যেমন ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যেতে হবে, তেমনই মানুষকে পরিষেবা দিতে হবে। সেই সঙ্গে প্রয়োজন দেশের ঘুমিয়ে পড়া অর্থনীতিকে চাঙ্গা করা। সেই কারণেই এবার বাস ও ট্যাক্সি পরিষেবা নতুন করে শুরু করার কথা ভাবা হচ্ছে। গড়কড়ি বলেন, “খুব তাড়াতাড়ি পরিবহণ পরিষেবা চালু করে দেওয়া হবে। তার জন্য থাকবে বিশেষ গাইডলাইন।”
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানান, বাস ও গাড়ি চললে কেন্দ্রের দেওয়া নির্দেশিকা মেনেই চলতে হবে, মানতে হবে সোশ্যাল ডিসটেন্সিং। অন্যদিকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে হাত ধুতে হবে, স্যানিটাইজ করতে হবে এবং মুখে মাস্ক পরতে হবে। গড়কড়ির মতে, মানুষের মনে এখনও করোনা আতঙ্ক ছড়াচ্ছে। তাই খুব সহজে তারা বাসের মতো গণপরিবহণকে ব্যবহার করতে চাইবে না।
তাঁর কথায়, “করোনার জেরে অর্থনীতির যে বেহাল দশা, তাকে আমরা আশীর্বাদ হিসেবেও বিবেচনা করতে পারি। এই করোনার কারণে চিনের সঙ্গে ব্যবসা করতে চাইছে না বিভিন্ন দেশ ও কোম্পানী। সম্প্রতি জাপানের প্রধানমন্ত্রীও মুখ ফিরিয়েছেন। তাই ভারতের অর্থনীতি চাঙ্গা করার এটাই মোক্ষম সুযোগ।” একই সঙ্গে পরিযায়ীদের ফেরাতে বিমান ও ট্রেন পরিষেবাও দ্রুত চালু করার কথা জানান তিনি। অবশ্য ইতিমধ্যে “শ্রমিক ট্রেন” চালু করা হয়েছে কেন্দ্রের তরফে।
অর্থনীতির হাল ফেরাতে যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণও দিনরাত সদা সচেষ্ট তা মনে করান গড়কড়ি। উল্লেখ্য, লকডাউনের মধ্যেই খুলেছে মদের দোকান, স্পা, সেলুন। এবার বাস, ট্রেন ও মেট্রো চালু হবে কি না, সেটাই দেখার বিষয়। তবে কবে পরিষেবা চালু হবে তা নিশ্চিত করেননি গড়কড়ি।