শুরু হতে চলেছে কোভিশিল্ডের ট্রায়াল ভারতের ১৭টি হাসপাতালে
এবার অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের করোনার প্রতিষেধক “কোভিশিল্ড”-এর দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল শুরু করার অনুমতি দিল ভারতের ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনেরাল। তাই ভ্যাকসিন উৎপাদনকারী সংস্থা সিরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যেই ১৭টি জায়গাকে বেছে নিয়েছেন এই প্রক্রিয়া চালু করার জন্য।
কোভিশিল্ড করোনা টিকাটি তৈরি করেছে অক্সফোর্ডের অন্তর্গত জেনার ইনস্টিটিউট। এবং তাতে সাহায্য করছে ব্রিটিশ-সুইডিশ ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থা অ্যাস্ট্রাজেনেকা। এরপর তাঁরা ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউটের সাথে চুক্তি বদ্ধ হয় স্বল্প ও মধ্য আয় করা দেশগুলিতে করোনার ভ্যাকসিন উৎপাদনের জন্য।
চলতি মাসেই ভারতে এই প্রতিষেধকের দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল শুরু হবে। যা “অবজার্ভার ব্লাইন্ড, র্যান্ডম তবে নিয়ন্ত্রিত” অর্থাৎ, যাঁদের শরীরে এই ভ্যাকসিনের প্রক্রিয়া চালানো হবে, তাঁদের আগে থেকে বাছাই করা হবে না। বরং সুস্বাস্থ্যের অধিকারী প্রাপ্তবয়স্কদের ওপর কোভিশিল্ড ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হবে। যাতে সুরক্ষা ও রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পর্কে সঠিক তথ্য পাওয়া যায়।
সূত্রের খবর, ১৬০০ জন এই ট্রায়ালে অংশ নেবে। এর মধ্যে ৪০০ জন অংশ নেবেন ইমিউনোজেনেসিটি কোহোর্টে। ৩:১ অনুপাতে তাঁদের ওপর কোভিশিল্ড বা চাদোক্স প্রয়োগ করা হবে। বাকি ১২০০ স্বেচ্ছাসেবক অংশ নেবেন সেফটি কোহর্টে অর্থাৎ ৩:১ অনুপাতে তাঁদের ওপর কোভিশিল্ড বা প্লাসেবো প্রয়োগ করা হবে। তাঁদের প্রত্যেককে চার সপ্তাহ অন্তর দুটি ডোজ দেওয়া হবে। এরপর দ্বিতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল শেষ হলে সেই তথ্য সেফটি মনিটরিং বোর্ডকে পাঠানো হবে। পরে তা কেন্দ্রীয় ড্রাগ স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশনে পাঠানো হবে তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালের জন্য।