মনুষ্যত্বের লেশমাত্র নেই! ভারতীয় প্রতিরক্ষা প্রধান বিপিন রাওয়াতের মৃত্যু সংবাদে উচ্ছ্বসিত পাকিস্তানিরা, আনন্দ উল্লাস প্রতিবেশী রাষ্ট্রে
গত বুধবার গোটা দেশে যেন এক শোক ছায়া নেমে আসে। ভারতের প্রথম প্রতিরক্ষা সর্বাধিনায়ক বিপিন রাওয়াতের মৃত্যু হয় এদিন। তামিলনাড়ুর কুন্নুরে সেনা বিমান ভেঙে পড়ে। এরপর আগুন ধরে যায় তাতে। এই দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় হেলিকপ্টারে থাকা ১৪ জনের মধ্যে ১৩ জনের।
এই বিমানেই ছিলেন ভারতীয় প্রতিরক্ষা প্রধান বিপিন রাওয়াত ও তাঁর স্ত্রী। বিমান দুর্ঘটনার পর বিপিন রাওয়াতের অধিকাংশ পুড়ে যাওয়া দেহ উদ্ধার করেন সেনাকর্মীরা। তাঁকে সেনা হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা চললেও শেষরক্ষা হয়নি। মৃত্যু হয় তাঁর স্ত্রীও।
এই শোকের ঘটনায় একদিকে যখন গোটা ভারত দুঃখপ্রকাশ করছে, সমবেদনা জানাচ্ছে, ঠিক তখনই প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তানে এই ঘটনার জন্য উল্লাস করা হচ্ছে। মানবিকতার সমস্ত সীমা পার করে বিপিন রাওয়াতের মৃত্যুর ঘটনার আনন্দ প্রকাশ করতে দেখা গেল পাকিস্তানিদের।
বিপিন রাওয়াত ও তাঁর স্ত্রীর মৃত্যু সংবাদের খবরে হাসির ইমোজি দিয়েছে নানান পাকিস্তানিরা। এমন এক পেজের স্ক্রিনশট তুলে টুইটারে শেয়ার করেছেন এক ব্যক্তি।
তখনও পর্যন্ত বিপিন রাওয়াতের মৃত্যু সংবাদ মেলেনি, তবে দুর্ঘটনার খবর পেয়ে জিশান আফ্রিদি নামের এক পাকিস্তানী সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন যে খুবই দুঃখজনক যে বিপিন রাওয়াত বেঁচে গিয়েছেন।
আবার মহম্মদ আকিফ নামের এক ইসলামাবাদের ব্যক্তি প্রার্থনা করেছেন যাতে বিপিন রাওয়াতের আত্মা নরকে যায়।
অন্য এক পাক টুইটার ব্যবহারকারী যিনি নিজের টুইটার বায়োতে লিখে রেখেছেন যে তিনি ‘হিন্দুত্ব’-এর অনুগামী নন এবং নিজেকে এক মুসলিম বলেই দাবী করেছেন, তিনি টুইটারে লেখেন, “দুঃখ পাওয়ার কোনও কারণ দেখছি না আমি। বিপিন রাওয়াতের জায়গায় শীঘ্রই অন্য কেউ আসবেন। এটা আমাদের জন্য ছোটো ইদের মতো”।
শুধু তাই-ই নয়, অনেক পাকিস্তানী বিপিন রাওয়াতের মৃত্যু নিয়ে নানান মিমও শেয়ার করেছেন। আবার অনেকে তো এও বলেছেন যে ভারতীয় সেনাবাহিনীই বিপিন রাওয়াতের মৃত্যুর পিছনে দায়ী।
আবার অন্য এক পাকিস্তানী এই দুর্ঘটনার দায় চাপিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উপর। তার কথায় মোদীই রয়েছেন এই হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার নেপথ্যে। উত্তরপ্রদেশের আসন্ন বিধানসভায় করুণা আদায়ের জন্য তিনি এই কাজ করিয়েছেন।
এমন নানান বিতর্কমূলক পোস্ট শেয়ার করা হয়েছে পাকিস্তানিদের তরফে। মনুষ্যত্বের সব সীমানা পার করে এমন নানান দেখা গিয়েছে পাক মিডিয়ায়।