‘ভারতের ঋণের প্রতীক’, ইন্ডিয়া গেটে বসতে চলেছে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর মূর্তি, ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী
এবছর নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর ১২৫তম জন্মবার্ষিকী। এই জন্মবার্ষিকীকে উদযাপনের জন্য কেন্দ্রের তরফে একাধিক উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আগেই জানানো হয়েছিল যে এবছর নেতাজির জন্মবার্ষিকীর দিন থেকেই শুরু হয়ে যাবে সাধারণতন্ত্র দিবসের উদযাপনও।
সাধারণতন্ত্র দিবসে বাংলার নেতাজির ট্যাবলো নিয়ে কেন্দ্র ও রাজ্যের মধ্যে কম তরজা হয়নি। সেই মামলা গড়িয়েছে আদালত পর্যন্ত। এসবের মাঝেই নেতাজির জন্মদিনের দু’দিন আগে এক বড় ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
টুইট করে তিনি জানান যে ইন্ডিয়া গেটে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর একটি বিশাল গ্রানাইটের মূর্তি তৈরি করা হবে। তিনি এও জানান যে সেই মূর্তি যতদিন না পর্যন্ত নির্মিত হচ্ছে, ততদিন সেই জায়গায় নেতাজির একটি হলোগ্রাম আবক্ষ থাকবে।
এদিন টুইট বার্তা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী লেখেন, “সমগ্র জাতি নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর ১২৫তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন করছে। এমন এক সময়ে আমি আনন্দের সাথে সবাইকে জানাতে চাই যে গ্র্যানাইট দিয়ে তৈরি তাঁর এক বিশাল মূর্তি ইন্ডিয়া গেটে স্থাপিত হবে। এটা হবে তাঁর প্রতি ভারতের ঋণের প্রতীক”।
Till the grand statue of Netaji Bose is completed, a hologram statue of his would be present at the same place. I will unveil the hologram statue on 23rd January, Netaji’s birth anniversary. pic.twitter.com/jsxFJwEkSJ
— Narendra Modi (@narendramodi) January 21, 2022
বিজ্ঞাপননানান মহল থেকেই কেন্দ্রের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানানো হয়েছে। তবে সাধারণতন্ত্র দিবসে নেতাজির ট্যাবলো নিয়ে বিতর্কের মাঝে মোদীর এই ঘোষণা নিয়ে তৈরি হয়েছে বিতর্কও। এ রাজ্যের শাসকদল বিশেষ করে এ নিয়ে বিতর্ক তৈরি করে। তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ এই বিষয়ে বলেন, “কেন্দ্রের উদ্যোগ ভালো। কিন্তু সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে তাকে সর্বান্তকরণে ভাল বলা যাচ্ছে না”।
প্রসঙ্গত, আজ, শুক্রবারই আবার কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়ে যে দিল্লির ইন্ডিয়া গেটের কাছে ‘অমর জওয়ান জ্যোতি’ নিভতে চলেছে। ১৯৭১-এ পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধজয়ের স্মারক হিসেবে শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে তৈরি হয়েছিল এই ‘অমর জওয়ান জ্যোতি’।
এর ৫০ বছর পর আজ, শুক্রবার সেই অনির্বাণ শিখাই নিভে যাবে। তবে কেন্দ্রের বক্তব্য, ‘অমর জওয়ান জ্যোতি’র অগ্নিশিখাকে নেভানো হচ্ছে না। এটা শুধু ‘জাতীয় যুদ্ধ স্মারক’-এ মিশে যাচ্ছে।
বিজ্ঞাপন