ওমিক্রন প্রজাতির বাড়বাড়ন্ত, দেশবাসীকে সতর্ক থাকার পরামর্শ প্রধানমন্ত্রীর, ফের কী লকডাউনের পথে দেশ?

গতকাল, শুক্রবারই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা করোনা ভাইরাসের নতুন প্রজাতি ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে। ভারত ও অন্যান্য দেশের উপর এর কী প্রভাব, তা নিয়ে হয় আলোচনা। ইতিমধ্যেই এই নতুন প্রজাতির প্রভাব দেখা গিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা, বৎসোয়ানা, হংকং-এর মতো নানান দেশে।
এমন পরিস্থিতিতে আজ, শনিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দেশের করোনা পরিস্থিতি ও টিকাকরণ নিয়ে শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে একটি বৈঠক করেন। এই বৈঠকে নতুন ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন প্রধানমন্ত্রী। আন্তর্জাতিক ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা নিয়েও এদিন আলোচনা করা হয়। শুক্রবার ভারত সরকারের তরফে জানানো হয়েছে যে ২০ মাস পর আন্তর্জাতিক বিমানগুলি ফের শুরু হবে। তবে ‘বাবল’ বিমানই চালু হবে বলে জানা যায়।
এদিন মোদী জনগণকে সতর্ক করেন। মাস্ক পরা, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার মতো নানান সতর্কতা অবলম্বন করার পরামর্শ দেন তিনি। এমনকি, ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ দেশগুলির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করার কথাও বলেন তিনি। মোদী এদিন আরও বলেন যে জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের জন্য আন্তর্জাতিক ভ্রমণকারীদের নমুনা পাঠাতে হবে। সিকোয়েন্সিং অনেক বাড়াতে হবে বলেও জানান তিনি।
এদিনের এই বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী ‘হর ঘর দস্তক’ অর্থাৎ ঘরে ঘরে টিকাকরণের ওপর জোর দেন। দেশে টিকাকরণের দ্বিতীয় ডোজের গতি বাড়ানো প্রয়োজন বলে জানান মোদী। রাজ্যগুলিকে যারা প্রথম ডোজ পেয়েছেন তাদের সময়মতো দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়েছে কিনা তা নিশ্চিত করতে বলা হয়।
এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আধিকারিকদের আরও নির্দেশ দেন যাতে কন্টেনমেন্ট জোন থেকে কোথায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেশি সেই জায়গাগুলি চিহ্নিতকরণের করা হয়। তিনি আরও জানান যে কোভিড ক্লাস্টারগুলিতে প্রযুক্তিগত সহায়তা দেওয়া উচিত।