নতুন রাজনৈতিক দল গড়ার পথে পিকে! নিজের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ ঠিক কী জানালেন প্রশান্ত কিশোর?
প্রশান্ত কিশোরের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ ঠিক কী, তা নিয়ে এর আগেও নানান প্রশ্ন উঠেছে। এবার সেই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর দিলেন পিকে নিজেই। এক সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন যে এই মুহূর্তে তিনি নতুন কোনও রাজনৈতিক দল গঠন করছেন না।
প্রশান্ত কিশোরের কথায়, লালু প্রসাদ যাদব ও নীতিশ কুমার ৩০ বছর ধরে শাসন করার পরও বিহার সবথেকে পিছিয়ে পড়া এক রাজ্য। তাঁর মতে, বিহারের উন্নতি করতে হলে সকলকে একসঙ্গে মিলেমিশে কাজ করতে হবে।
পিকে-র কথায়, “আমার যা কিছু আছে, আজ তা সম্পূর্ণভাবে বিহারকে উৎসর্গ করছি। বিহারের মানুষের সঙ্গে দেখা করে, তাদের দৃষ্টিভঙ্গি বোঝা এবং জন সুরজের দর্শনের সঙ্গে তাদের সংযুক্ত করতে হবে। আগামী চার মাসে আমি হাজার হাজার মানুষের সঙ্গে দেখা করব যারা বিহারের ভালো চান। যদি বিপুল সংখ্যক মানুষ এই প্রচারে যোগদান করে এবং রাজ্যের পথ এবং অবস্থার পরিবর্তনের জন্য একটি নতুন রাজনৈতিক দলের প্রয়োজন তাহলে তাই করার চেষ্টা করা হবে”।
এদিনের এই সাংবাদিক সম্মেলনেই বিহারকে নিরাপদ ও আরও উন্নত করার জন্য নিজের যোগদানের কথা ঘোষণা করেন প্রশান্ত কিশোর। তিনি জানান যে আগামী ২রা অক্টোবর চম্পারন থেকে তিনি শুরু করবেন পদযাত্রা।
প্রশান্ত কিশোর রাজনীতিতে প্রবেশ করবেন কী না, সে বিষয়ে অবশ্য বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার কোনও বক্তব্য রাখেননি। তিনি জানান, এসবের সঙ্গে তাঁর কোনও সম্পর্ক নেই। তাৎপর্যপূর্ণভাবে, প্রশান্ত কিশোরের নিজস্ব রাজনৈতিক দল গঠনের জল্পনা নিয়ে বিহারের রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে বেশ শোরগোল শুরু হয়ে গিয়েছে।
তবে সমস্ত রাজনৈতিক দলই জানিয়েছে যে প্রশান্ত কিশোরের নিজের রাজনৈতিক দল গঠনের স্বাধীনতা রয়েছে। তবে বিহারের রাজনীতিতে পিকে-র ঠিক কী ভবিষ্যৎ হতে চলেছে, তা নিয়ে কেউ কোনও মন্তব্য করেন নি।