শুরু হল রাম মন্দিরের জন্য চাঁদা সংগ্রহ! ৫ লক্ষ টাকা অনুদান দিলেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ

নির্মাণ হবে রাম মন্দির। হিন্দু ধর্মের সবচেয়ে বড় মন্দির নির্মাণের ঘোষণা করেছে উত্তরপ্রদেশ সরকার। আর তার জন্য লাগবে আমজনতার সাহায্য। বিশেষ করে হিন্দুদের। আজ থেকে শুরু হয়ে গেছে অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণের জন্য অর্থ সংগ্রহ। আর এই শুভ কাজে প্রথম দান করলেন ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। ট্রাস্টের হাতে তুলে দিলেন পাঁচ লক্ষ টাকা অনুদান। শুক্রবার রাষ্ট্রপতি কোবিন্দের সঙ্গে দেখা করেন শ্রীরাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের সহ-সভাপতি গোবিন্দদেব গিরিজি মহারাজ। তাঁর সঙ্গে ছিলেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের কার্যকরী সভাপতি অলোক কুমার, মন্দির নির্মাণ কমিটির প্রধান নৃপেন্দ্র মিশ্র ও আরএসএস নেতা কুলভূষণ আহুজা। তাঁদের হাতেই পাঁচ লক্ষ একশো টাকার চেক তুলে দেন রাষ্ট্রপতি।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, আগামী ২৭শে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এই চাঁদা সংগ্রহ অভিযান চলবে। ১০, ১০০ ও ১ হাজার টাকার কুপনে অনুদান সংগ্রহ করা হবে সাধারণ মানুষের থেকে। তবে এই ট্রাস্টে সরকারি কোনও তহবিল থেকে অর্থসাহায্য করা যাবে না বলে জানিয়েছেন স্বেচ্ছাসেবীরা। একইসঙ্গে বিদেশ থেকে কিংবা কর্পোরেট সংস্থার তরফে চাঁদা দিতে চাইলেও তা গ্রহণ করা হবে না বলে জানিয়েছেন তাঁরা।
এদিনই পাটনায় এই অনুদান সংগ্রহ অভিযান চাঁদা সংগ্রহের উদ্বোধন করে বিজেপি নেতা সুশীলকুমার মোদী বলেন, তাঁর আশা বিহারের প্রতিটি হিন্দু পরিবারই রাম মন্দির নির্মাণে চাঁদা দেবে। অন্য ধর্মের কেউ চাঁদা দিতে চাইলে তা নেওয়া হবে কিনা, সেই প্রসঙ্গে তাঁর বক্তব্য, অন্য ধর্মের কেউ টাকা দিতে চাইলে কোনও আপত্তি নেই। তাঁর কথায়, “কেন নয়? কিন্তু মসজিদ হলে যেমন আশা করা হয়, মুসলিমরাই এগিয়ে আসবে, তেমনই রামের মন্দিরের জন্য হিন্দুদেরই নেতৃত্ব দেওয়া উচিত। তবে বাকি ধর্মের মানুষরাও তাঁদের অনুসরণ করতে পারবেন।”
প্রসঙ্গত, এই বছর ৫ই আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদীর হাতে রামমন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন হয়। উত্তরপ্রদেশে অকাল দীপাবলির আয়োজন করেন যোগী আদিত্যনাথ। আনন্দের সঙ্গে যুক্ত হয় বিতর্ক। করোনা পরিস্থিতিতে এই সমারোহ কতটা প্রাসঙ্গিক প্রশ্ন ওঠে রাজনৈতিক মহলে।