রামের নামে রেগেছেন মমতা! মুখ্যমন্ত্রীকে রামায়ণ পাঠাচ্ছেন মধ্যপ্রদেশের অস্থায়ী স্পিকার রামেশ্বর শর্মা
গতকাল ছিল নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর ১২৫ তম জন্ম জয়ন্তী। সেই উপলক্ষে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে আয়োজন করা হয় অনুষ্ঠানের। উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী, কেন্দ্রীয় সংস্কৃতিমন্ত্রীও। আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও। কিন্তু নিজের বক্তব্য রাখার জন্য তিনি বলতে উঠতেই বিজেপি সমর্থকদের মুখ থেকে ‘জয় শ্রী রাম’ ধ্বনি ওঠে। সেই স্লোগানে ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী এরপর মঞ্চেই সরাসরি তোপ দাগেন। তিনি বলেন,”সরকারি অনুষ্ঠানের ডিগনিটি থাকা উচিত। এটা কোনও রাজনৈতিক অনুষ্ঠান নয়। আমাকে আমন্ত্রণ করায় প্রধানমন্ত্রী ও সংস্কৃতিমন্ত্রীর কাছে কৃতজ্ঞ। কিন্তু কাউকে আমন্ত্রণ করে, তারপর অপমান করা উচিত নয়। তাই প্রতিবাদ স্বরূপ আমি কিছু বলছি না।”
মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্যের পরই বঙ্গ রাজনীতিতে তোলপাড় শুরু হয়। নিজের সিদ্ধান্তে বাংলায় জনগণের একাংশের ও বাম-কংগ্রেস সহ বিরোধীদলের সমর্থন আদায় করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যে নেতাজি রাজনীতির সঙ্গে ধর্মকে সদাই আলাদা করতে চেয়েছেন সেই সুভাষচন্দ্র বোসের জন্মজয়ন্তীতে জয় শ্রীরাম স্লোগানের বিরোধিতা করে বেশিরভাগ বাঙালি। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুষ্ঠানে বক্তব্য না রাখা এখন রাজ্যের সীমা অতিক্রম করে দেশেও আলোড়ন তুলেছে। নিজেদের সমর্থনে মুখ খুলেছেন বিজেপির একাধিক নেতা।
এবার মধ্যপ্রদেশের অস্থায়ী স্পিকার রামেশ্বর শর্মা বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে রামায়ণ পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তিনি বলেছেন, জয় শ্রীরাম শুধুমাত্র বিজেপি স্লোগান নয়, আমি আশা করছি দিদি রামায়ণ পাঠ করবেন, চরিত্র বুঝবেন, এবং আর কখনই জয় শ্রীরাম স্লোগান-এর বিরোধিতা করবেন না।
একটা বিতর্কের ইতি হতে না হতেই বাংলায় শুরু অন্য বিতর্ক। আর যা বাংলায় আসন্ন বিধানসভা ভোটের আবহকে আরও উত্তেজক পূর্ণ করে তুলছে।